শিক্ষাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক |

পরিকল্পিতভাবে শিক্ষাকে একদম ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেয়া একটি পোস্টে এ কথা বলেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনে গঠিত কমিটির এ সদস্য। 

অধ্যাপক মামুন লিখেছেন, ‘এত বছর যাবৎ শিক্ষকতা পেশাকে অনাকর্ষণীয় করে, নিয়োগ বিধিমালা ও দুষ্ট লোক দিয়ে নিয়োগ কমিটি ভরে মানহীন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে সমাজে একটা ধারণা তৈরি করা হয়েছে যে আমাদের শিক্ষকরা ভালো না। আমাদের শিক্ষকরা প্রাইভেট পড়ায়, পার্ট টাইম পড়ায়, জনপ্রতিনিধি তথা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পেছনে ঘুরে, নিজেরা রাজনীতি আর সমিতি করে নানা গ্রুপিং ও তদবিরে ব্যস্ত। কথা পুরো সত্য। কিন্তু এই সত্য অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তৈরি করে শিক্ষাকে একদম ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

তিনি লিখেছেন,‘এখন এ থেকে মুক্তির উপায় কি? এখন শিক্ষকতা পেশাকে উন্নত ও আকর্ষণীয় করতে বললেই একদল বলে উঠে এদের যোগ্যতা নাই, এরা অমুক, এরা তমুক ইত্যাদি। তাহলে কি আমরা এর মধ্যেই আবর্তিত হতে থাকবো? এক জায়গা থেকেতো শুরু করতে হবে। এটা করলে এখন যারা খারাপ তারা লাভবান হয়ে যাবে বলে কি উচিত কাজটি করা যাবে না? উচিত কাজটি ঠিক করতে হবে ভবিষ্যতের পানে তাকিয়ে। যাতে তখন থেকে যারা নিয়োগ পাবে তারা যোগ্য হয়। খারাপের উদাহরণ দিয়ে ভালো কিছু না করার যুক্তি কখনোই ভালো না। ’ 

অধ্যাপক মামুন আরো লিখেছেন,‘আর যেনো একটি নিয়োগও খারাপ না হয়। শিক্ষকতা পেশাকে আকর্ষণীয় করার পাশাপাশি একই সঙ্গে আমাদের নিয়োগ বিধিমালাকেও কয়েকটি স্তরে ভাগ করতে হবে যেনো তিন স্তরে ফিল্টারিং হয়ে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। একজন অসৎ খারাপ শিক্ষক যেমন অনেক বছর ধরে সমাজের ক্ষতি করে যেতে পারে যা ক্যাসিক্যাডিং ইফেক্ট এর মাধ্যমে ক্ষতির পরিমাণ চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পায় ঠিক তেমনি একটি ভালো নিয়োগ অনেক বছর ধরে সমাজের ভালো করে যেতে পারে যা ক্যাসিক্যাডিং ইফেক্ট এর মাধ্যমে লাভ এর পরিমাণ চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পায়।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
আবেদনের যোগ্যতা নেই তবু শিক্ষক - dainik shiksha আবেদনের যোগ্যতা নেই তবু শিক্ষক শিক্ষাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে - dainik shiksha শিক্ষাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলেজছাত্রকে তুলে নিয়ে হা*তুড়ি পেটা - dainik shiksha কলেজছাত্রকে তুলে নিয়ে হা*তুড়ি পেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএমজিএসে মাস্টার্স করার সুযোগ - dainik shiksha ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএমজিএসে মাস্টার্স করার সুযোগ সাত কলেজে চূড়ান্ত ধাপের বিষয় বরাদ্দ ৩ অক্টোবর - dainik shiksha সাত কলেজে চূড়ান্ত ধাপের বিষয় বরাদ্দ ৩ অক্টোবর প্রধান শিক্ষককে তাড়িয়ে চেয়ারে বসলো ছাত্র! - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে তাড়িয়ে চেয়ারে বসলো ছাত্র! সেন্ট যোসেফে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি আবেদন শুরু - dainik shiksha সেন্ট যোসেফে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি আবেদন শুরু দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0028259754180908