২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষাখাতে ৬১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য এটি সাম্প্রতিককালের সর্বোচ্চ বরাদ্দ।
গত বছর শিক্ষাখাতের বাজেট ছিল ৫৩ হাজার ৫৪ কোটি টাকা। নতুন বাজেটে শিক্ষায় অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবিত এ বাজেটে। যা গত বছরের তুলনায় ৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা বেশি। শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ নিয়ে কথা বলেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। বুধবার (১৯ জুন) সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতি বছর শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তা জাতীয় বাজেট বরাদ্দের কত শতাংশ বাড়ছে সেটা দেখা দরকার। সবসময় শিক্ষা খাতে মোট বাজেটের ১০ থেকে ১২ শতাংশ বরাদ্দ থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু শিক্ষাখাতে বরাদ্দ হওয়া উচিত মোট বাজেটের ২০ শতাংশ।
শিক্ষা যে কোনো দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খাত। আমাদের দেশের জন্য তা আরও বেশি। কারণ আমাদের জনসংখ্যা অনেক। আর দক্ষ ও উৎপাদনশীল জনবল বাড়াতে শিক্ষার বিকল্প নেই।
জিডিপির অনুপাতে আমাদের দেশে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ মাত্র ২ শতাংশ। এটা খুবই অপর্যাপ্ত। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ হওয়া উচিত ছিল মোট জিডিপি ৬ শতাংশ। যেটা ইউনেস্কোও দাবি করছে। শুধু বরাদ্দ দেখলেই হবে না ,সেটা কোনদিকে যাচ্ছে সেটাও দেখতে হবে। শিক্ষাখাতে দুর্নীতি হয় সবচেয়ে বেশি। তাই বরাদ্দটা নর্দমায় না মাটিতে পড়ছে সেটা দেখতে হবে। দুর্নীতি দূর করতে নজরদারিত্ব বাড়াতে হবে।
শিক্ষাখাতে দুর্নীতি রোধ করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ জন্য অভিভাবকসহ সামাজিকভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে জবাবদিহিতা তৈরি করতে হবে। ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি ও যথাযথ ব্যবহার দুই-ই নিশ্চিত করতে হবে।