শিক্ষামন্ত্রী সমীপে নিবন্ধিতদের আবেদন

ভূপেন্দ্র নাথ রায় |

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার একজন দক্ষ কারিগর। তাঁর একান্ত ইচ্ছা ও আন্তরিকতার কারণে আজ অবহেলিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা একটি মানসম্মত বেতন পাচ্ছেন। শিক্ষকদের কল্যানে প্রধানমন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বেসরকারি শিক্ষকদের মনে আশার সঞ্চার করেছে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি কলেজ সরকারিকরণ সম্ভব হয়েছে তাঁরই প্রচেষ্টায়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নাজুক অবকাঠামো তাঁর হাত ধরেই আজ দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। তিনি জানেন, মানসম্মত শিক্ষার জন্য মানসম্মত শিক্ষকের দরকার।

এরই সূত্র ধরে স্বৈরতান্ত্রিক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির দৌরাত্ম্য অবসান করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কতৃপক্ষকে মেধাবী ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা অর্পণ করেন। তাঁর সময়েই শিক্ষাব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে, যা বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফলে লক্ষ্য করা যায়।

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার পরও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যোগ্য এবং বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের চরম সংকটে ভুগছে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ এনটিআরসিএ’র হাতে যাওয়ায় এবং মামলাজনিত কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের শূন্যপদ সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষকদের রুটিনের চেয়ে বেশি ক্লাস নিতে হচ্ছে। নিবন্ধিতরা মেধা যাচাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশসেবার ব্রত নিয়ে অপেক্ষারত। এনটিআরসিএ’র মেধা যাচাই পরীক্ষায় তারা নিজ যোগ্যতায় শিক্ষক নিবন্ধন সনদ লাভ করেছে। এদের মেধাহীন ভাবার কোন অবকাশ নেই। জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে এদের অনেকেই প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে মেধার সর্বোচ্চটা দিয়ে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলো সফলতার অন্যরকম উচ্চতায় উঠেছে।

আজ দেখা যায়, এই প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে পাল্লা দিয়ে ফলাফলে এগিয়ে। এরা যদি একই মেধাটুকু দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রয়োগ করে তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বমহিমায় আলোকিত হবে। দেশ পাবে মেধাবী প্রজন্ম। 

অন্যদিকে নিবন্ধন সনদধারীদের বঞ্চিত করলে জাতির বেকার সমস্যা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু এনটিআরসিএর কার্যক্রম শম্বুক গতির কারণে আজ নিবন্ধন প্রাপ্তরা  হতাশার অন্ধকারে নিমজ্জিত। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দুইবার এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান নিযুক্তির আদেশ দিলেও কোন কর্মকর্তা উক্ত পদে যোগদান করেননি, যা প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে। 

এদিকে দিন দিন সনদপ্রাপ্তদের বয়স বেড়েই চলেছে। মেধার ভিত্তিতে তাদের চাকরির নিশ্চয়তা কে দেবে? বিষয়টি অনুধাবনপূর্বক নিবন্ধনভুক্ত তরুণ মেধাবীদের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত করে মেধাবী ও দক্ষ জাতি গড়ার সুযোগ দিন।   

লেখক : শিক্ষক, খানসামা, দিনাজপুর 

[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন]

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের - dainik shiksha স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের ঢাকাসহ ১৩ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাল বন্ধ - dainik shiksha ঢাকাসহ ১৩ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাল বন্ধ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ হাইকোর্টের - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ হাইকোর্টের প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা টেম্পু চাপায় কলেজছাত্রী নিহত - dainik shiksha টেম্পু চাপায় কলেজছাত্রী নিহত কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030820369720459