বেইজিং ও ক্যানবেরার মধ্যে সম্পর্কের অবনতির মধ্যেই কিছু চীন অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে ইচ্ছুক দেশটির শিক্ষার্থীদের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করছে বলে এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
দ্য অস্ট্রেলিয়ান ফিনান্সিয়াল রিভিউয়ের (এএফআর) মতে, প্রতিবেদনটিতে ফেব্রুয়ারির বিবরণী অনুসারে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের অস্ট্রেলিয়ার বাইরে পড়তে যেতে বলার জন্য চীনের বড় শহরগুলোর বাইরের এজেন্টদের প্রতি সরকারি নির্দেশনা আছে।
মার্চ মাসে বিশ্বের ৭৩টি দেশে ৯০০ এজেন্টের ওপর এ জরিপ চালিয়েছিল শিক্ষা সংক্রান্ত সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান নাভিটাস।
নাভিটাসের স্ট্রাটেজিক ইনসাইটস অ্যান্ড অ্যানালিটিকস বিভাগের প্রধান জোনাথন চিউ বলেন, অস্ট্রেলিয়ান অর্থনীতির ১০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চীনা বাজারটি অন্য দেশে চলে যেতে থাকলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলো থেকে তা পূরণ করা অসম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, চীন থেকে আসা মাত্র ২০ শতাংশ এজেন্টের আস্থা আছে যে শিক্ষার্থীরা (২০২২ সালের প্রথমার্ধে) অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবে।
এদিকে আন্তর্জাতিক শিক্ষা পরামর্শক ডির্ক মুলদার বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের পড়তে যাওয়াকে নিরুৎসাহিত করার ক্ষেত্রে চীন সরকার আরও কঠোর হতে পারে।
তিনি বলেন, মহামারির আগে চীনে অনলাইন ডিগ্রি স্বীকৃত ছিল না। বেইজিং যদি অনলাইন ডিগ্রির স্বীকৃতি বন্ধ করে দেয় এবং সীমান্তগুলো বন্ধই থাকে, তবে এ বাজার হাতছাড়া হবে।
গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস পেইন বলেছিলেন, কমনওয়েলথের নতুন বিদেশি ভেটো আইনের আওতায় বিআরআই চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। অর্থাৎ শিল্প উৎপাদন, জৈবপ্রযুক্তি ও কৃষিক্ষেত্রে চীন-অস্ট্রেলিয়া সহযোগিতার আরও অবসান ঘটাতে পারে।
পরে চীন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপের অধীনে তার সব কার্যক্রম স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়, এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা দু'দেশের মধ্যে উত্তাল কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।