শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেয়ার অভিযোগে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়াড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীকে শোকজ করা হয়েছে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ইউএনও আনোয়ার পারভেজ এক আদেশে ওই প্রধান শিক্ষককে শোকজ করে সহকারী প্রধান শিক্ষক রতন কুমার সরকারকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছেন। ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, রোববার সকালে প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী অন্তত ২৫জন শিক্ষার্থীর মাথার চুল কাঁচি দিয়ে অসমান করে কেটে দেন। এতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করেন। একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীদের সাথে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রধান শিক্ষককে নিজ কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে থানার ওসিকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানান প্রধান শিক্ষক। খবর পেয়ে ওসি দিলিপ কুমার দাস বিদ্যালয়ে গিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ইউএনও আনোয়ার পারভেজকে অবহিত করেন। পরে ইউএনও আনোয়ার পারভেজ বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে উপস্থিত অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের আশ্বস্থ করলে তারা বিক্ষোভ বন্ধ করেন।
এসময় ইউএনও আনোয়ার পারভেজ প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দেন। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রউফ, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মনিরুজ্জামান ও বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনজার্চ ইন্সপেক্টর তৌহিদুল ইসলাম।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রউফ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা ঘটনা তদন্তে কাজ শুরু করেছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন দেয়া হবে।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী বলেন, কিছু শিক্ষার্থী অমার্জিতভাবে চুলের স্টাইল করছিল। বিভিন্ন সময় বলার পরেও কথা না রাখায় তাদের চুল কেটে দেয়া হয়। এ নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।