বেশ কয়েকদিন যাবত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে সকল ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধের জন্য আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া এবং ক্যাম্পাসে সভা-সমাবেশ ও মিটিং-মিছিলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।
পরে রাত সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হলের শিক্ষার্থীরা জব্বারের মোড় থেকে এক মিছিল বের করে শিক্ষকদের আবাসিক এলাকা প্রদক্ষিণ করে ভিসির বাসভবনের সামনে এসে জড়ো হন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে, আমি কে, অবৈধ, অবৈধ’ স্লোগান দিতে থাকেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম এবং প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের বোঝাতে গেলে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির প্রতি অনড় থাকেন। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই রাত ১১টায় সিন্ডিকেট অধিবেশনের গৃহীত সিদ্ধান্ত সংশোধন করতে বাধ্য হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ সময় বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সকল প্রকার রাজনীতি, সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাখান করলাম এবং সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে রাজনীতি বন্ধ করার অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। এসময় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রশাসনকে সময় বেঁধে দেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বুধবার বিকেল তিনটায় সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস এবং গবেষণা কার্যক্রম শুরু হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং বন্ধ থাকবে। বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানানো হয়।