শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বড় গোপালদী গ্রামের শুকুর মাহমুদ স্কুল অ্যান্ড কলেজে।
১৯৭২ সালে ওই গ্রামের বাসিন্দা শুকুর মাহমুদ বড় গোপালদী গ্রামে সাড়ে তিন একর জায়গায় একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সালে ওই বিদ্যালয়টি কলেজ হিসেবে পাঠদানের অনুমোদন পায়। ওই বিদ্যালয় থেকে এ বছর ২০৪ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ২০২ জন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে, এসএসসি পরীক্ষার শেষ দিন স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রবেশপত্র নিয়ে নেয়। ৯ মে থেকে অনলাইনে কলেজে ভর্তির নিবন্ধন শুরু হলে শিক্ষার্থীরা নিবন্ধন করতে গিয়ে দেখে, তাদের নামে আগেই নিবন্ধন করা হয়ে গেছে। অর্থাৎ ওই প্রতিষ্ঠান থেকে আগেই তাদের নামে নিবন্ধন করে রাখা হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে, প্রধান শিক্ষক মো. নজির হোসেন মৃধা মুঠোফোন বন্ধ করে রাখায় তারা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না। টেস্ট পরীক্ষার পর বিদ্যালয় থেকে প্রবেশপত্র নেওয়ার সময় প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ‘এই কলেজিয়েট স্কুলে উচ্চমাধ্যমিক পড়তে হবে’ মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়। মুচলেকা ছাড়া কাউকে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি।
মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ইউএনও লুৎফুন নাহার বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।