শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন, ইবি কর্মকর্তার শাস্তি দাবি

ইবি প্রতিনিধি |

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় আরিফুল হক নামের এক কর্মকর্তার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১২টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারীর নিকট স্বারকলিপি দেন তারা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কর্মকর্তাদের চলমান আন্দোলন নিয়ে সমালোচনা করায় শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি চলাকালে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থগারের শাখা কর্মকর্তা ও সাবেক লিপিকৌশলী আরিফুল হক।

শিক্ষার্থীরা সনদ উত্তোলনের আবেদনপত্র লিখতে পারে না বলে এ সময় মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় শিক্ষার্থীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘যে ছাত্র সার্টিফিকেট তোলার সময় আবেদন লিখতে পারে না। সে ছাত্র ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় কিভাবে?’

এ ঘটনার পর গতকাল (শনিবার) এই মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ মন্তব্যের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার কথাও বলেন তারা। অন্যথায় তার বরখাস্তের দাবিতে কঠোর আন্দোলনে নামারও ঘোষণা দেন তারা।

সর্বশেষ রোববার কর্মকর্তা আরিফুলের শাস্তির দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যায় শাখা ছাত্র মৈত্রী ও অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। এ সময় তারা এ মন্তব্য প্রত্যাহারের পাশাপাশি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি আব্দুর রউফ বলেন, ‘আরিফুল হক যে মন্তব্য করেছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। ইবি ছাত্র মৈত্রীও এর সাথে একাত্মতা পোষণ করেছে। আমরা চাই প্রশাসন তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিক।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্মকর্তা আরিফুল হক দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিষয়টি ভুলবশত হয়ে গেছে। এজন্য আমি সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ‘এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ধরণের মন্তব্য খুবই গর্হিত। শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সে ক্ষমা না চাইলে, পরবর্তীতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

উল্লেখ্য, ১৬ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি। সম্প্রতি ১৬ দফা দাবির মধ্যে পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে নূন্যতম যোগ্যতা থাকলে ভর্তি করা ও ক্যাম্পাসের দৈনিক কর্মঘণ্টা কমানো সম্পর্কে ফেসবুকে বিভিন্ন সমালোচনা করেন ইবি শিক্ষর্থীরা।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান - dainik shiksha সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটি/ ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের তথ্য ইমেইলে আহ্বান শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! - dainik shiksha শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বৈত নীতি! হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে শিক্ষকের মৃত্যু লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা - dainik shiksha লিখিততে প্রক্সি দিয়ে পার, মৌখিক পরীক্ষায় এসে ধরা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক কেনো বদলি চান - dainik shiksha শিক্ষক কেনো বদলি চান ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে - dainik shiksha ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে জুলাইয়ে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0046398639678955