মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা চলতি মাসের শেষ অথবা জুনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট কর্তৃক উপবৃত্তির টাকা পেতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সোহাগ গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান। তিনি জানান, এই টাকা ঠিক কোন দিন পাওয়া যাবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না।
জানা গেছে, মাধ্যমিকে (ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি) ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৪৪ লাখ ৬১ হাজার শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির টাকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বাস্তবে এই সংখ্যা ৫০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের এক কর্মকর্তা জানান, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪০ লাখ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির টাকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও প্রকৃতপক্ষে দেয়া হয়েছিল ৫০ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬১ শিক্ষার্থীকে। এসব শিক্ষার্থীকে মোট ১ হাজার ৪৭৫ কোটি ৫২ লাখ ৭৩ হাজার ৭৬০ টাকা দেয়া হয়।
উচ্চমাধ্যমিকে (একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি) ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭ লাখ ৫৯ হাজার শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৭ লাখ ৬২ হাজার ৫৯৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫০৩ কোটি ৬০ লাখ ৫৫ হাজার ৩১০ টাকার উপবৃত্তি বিতরণ করা হয়।
স্নাতক ও সমমান শ্রেণিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ লাখ ৬৫ হাজার শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৩৫ হাজার থাকলেও উপবৃত্তি দেয়া হয় ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৮৯ শিক্ষার্থীকে। তাদের ৭৯ কোটি ৪৭ লাখ ৬১ হাজার ৬৫০ টাকার উপবৃত্তি বিতরণ করা হয়।
এদিকে উপবৃত্তি নিয়ে এক শ্রেণির প্রতারকচক্র ইতিমধ্যে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মোবাইলফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য বলছে। এমন অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে আইনশৃংলারক্ষাকারী বাহিনী।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ধরনের কোনো এসএমএস আমাদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় না। এ ধরনের এসএমএস ভুয়া ছাড়া আর কিছু নয়। শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্টে উপবৃত্তির টাকা ঢুকলে আমাদের পক্ষ থেকে একটা স্বয়ংক্রিয় এসএমএস যায়, যেটা অনেকটা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকলে যেমন এসএমএস যায়, সেটার মতো। এখানে উপবৃত্তির টাকা তোলার জন্য কারও ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলার কোনো সুযোগ নেই।