শিক্ষার্থী কম হলেও সব স্কুল একীভূত করা হবে না

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

কোনো স্কুলে শিক্ষার্থী কম হলেই সেটাকে পার্শ্ববর্তী স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। মঙ্গলবার (২৫ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। 

যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা কম, সেগুলোকে পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করা হবে, এই তালিকা কবে নাগাদ হতে পারে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা আগেও বলেছি, এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। ইনজেনারেল সিদ্ধান্ত। দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য, ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় (অববাহিতকা এলাকা) এলিমেন্টারি স্কুল হয়। এই এলাকায় যে বাচ্চারা থাকে, তারা এই স্কুলে ভর্তি হয়।’

  

‘আমাদের লক্ষ্যও তেমন। অববাহিকা এলাকায় সবদিক থেকে যদি এমন স্কুল তৈরি করতে পারি, তখন সেখানকার এলাকার শিশুরা ওই স্কুলে ভর্তি হতে পারবে,’ যোগ করেন সচিব।

তিনি বলেন, ‘আমরা এরইমধ্যে শনাক্ত করতে পেরেছি, ১৫০টির মতো স্কুলে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ১০ থেকে ৫০ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে। আমরা সিদ্ধান্তি নিয়েছে, হঠাৎ করে এসব স্কুল বন্ধ করে দেব না, একীভূত করব না।’

‘আমরা প্রবণতা দেখেছি, গেল ১০ কিংবা ২০ বছর ধরে যদি কোনো স্কুলে ১০-২০ জন শিক্ষার্থী থাকে, আমরা সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে স্কুল একীভূত করব না। যেমন, রাঙামাটি জেলায় একটি স্কুল আছে, যেটা ১০-২০ শিক্ষার্থী নিয়ে ১৫ বছর ধরে চলছে। কিন্তু আশপাশের সাত-আট কিলোমিটারের মধ্যে কোনো স্কুল নেই। যে কারণে ওই স্কুলটি একীভূত করা হবে না।’ 

তিনি বলেন, ‘আবার কোনো কোনো জায়গায় রাস্তার এপাড়ে একটা স্কুল আছে, বিপরীত পাশের ৫০০ গজের মধ্যে আরেকটা স্কুল আছে। এসব স্কুলে ১০-১২ ছাত্র-ছাত্রী আছে। আবার আধ কিলোমিটারের মধ্যে ২০০ মতো ছাত্র-ছাত্রী আছে, এমন স্কুল আমরা একীভূত করে দেব। এমন কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনা করে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

নতুন শিক্ষাক্রমের প্রাথমিক পর্যায়ের মূল্যায়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমাদের কারিকুলাম প্রণয়ন ও মূল্যায়নের পদ্ধতি নির্ধারণ করার দায়িত্ব পালন করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। কাজেই নতুন শিক্ষাক্রমের প্রাথমিক পর্যায়ের মূল্যায়ন এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তারা বিষয়টি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। তারা চার ও পাঁচ গ্রেডে যে মূল্যায়ন করেন, সেটা নিয়ে আমাদের কিছু পর্যবেক্ষণ আছে। আমাদের প্রাথমিকের মূল্যায়ন কীভাবে হলে ভালো হয়। পরে পর্যবেক্ষণগুলো এনসিটিবিকে দিয়েছি। আশা করছি, শিগগিরই এটি চূড়ান্ত হবে।’

তিনি বলেন, তারা যেটা করেছেন, সেটার বেশিরভাগের সাথে আমরা একমত পোষণ করলেও আমাদের কিছু ভিন্নমত আছে, ভিন্নভাবে মূল্যায়নের। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত ৪৫ লাখ - dainik shiksha বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত ৪৫ লাখ স্কুল-কলেজ ভবন নির্মাণে ৫ শতাংশ কমিশন নিতেন দীপু মনির ভাই টিপু - dainik shiksha স্কুল-কলেজ ভবন নির্মাণে ৫ শতাংশ কমিশন নিতেন দীপু মনির ভাই টিপু বন্যার্তদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে সহায়তা পাঠাবেন যেভাবে - dainik shiksha বন্যার্তদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে সহায়তা পাঠাবেন যেভাবে ঢাবি অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প কলেজে ভর্তির টাকা জমা দেয়ার সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha ঢাবি অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প কলেজে ভর্তির টাকা জমা দেয়ার সময় বৃদ্ধি নতুন শিক্ষাক্রম সংস্কার নয়, বাতিল চাই - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম সংস্কার নয়, বাতিল চাই দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023438930511475