শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত কিনা পরীক্ষা করে ভর্তির কথা ভাবছি: জাবি উপাচার্য

জাবি প্রতিনিধি |

ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মাদকাসক্ত কিনা পরীক্ষা করে ভর্তি করার বিষয়ে ভাবছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) নবীন শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে সভাপতির বক্তৃতায় এ তথ্য জানান উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। 

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদকের ভয়াবহ বিস্তার সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা আমাকে একটি ভয়ংকর তথ্য জানিয়েছেন।  রাতের বেলা মাদক নিয়ে চিকিৎসাকেন্দ্রে অনেক এমন শিক্ষার্থী আসে যারা ওখানে ভাঙচুর করতে চায়, ডাক্তারদের মারতে চায়। একারণে আমাদের পার্ট টাইম ডাক্তাররা রাতের বেলা এখন আর ডিউটি করতে চান না। নারী ডাক্তারদের তো দেয়া সম্ভবই না।

উপাচার্য আরো বলেন, 'আমরা এখন চিন্তা করছি ড্রাগ টেস্ট করিয়ে তারপর শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা যায় কিনা। এবার কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটিতে এ প্রস্তাব রেখেছি আমরা। আমরা আরও ভাবছি। একটা ছেলে মেধাবী, ভালো রেজাল্ট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেল তারপর ড্রাগ টেস্টে বাদ পড়ে গেল। নাকি আমরা তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিব! কোনটা বেশি মানবিক হবে? এ কারণে এ বিষয়ে আমরা তড়িঘড়ি করছি না, আরও ভাবছি। তোমরাও ভাব, কোনটা ভাল হয়।’

মাদকের সাথে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়ে ভিসি নবীন শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান চর্চার স্বাধীন উন্মুক্ত পরিবেশ। এর মানে এই না যে তোমরা রাত ৩টা পর্যন্ত সুপারিতলায় (বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্ত্বর সংলগ্ন একটি জায়গা) বসে আড্ডা দিবা। সুপারিতলায় কোনো জ্ঞান চর্চা হয় না। ওখানে কোনো পড়ালেখা হয় না। পড়ালেখা হলে হলের মধ্যেই হয়। ওখানে যা হয় তা তোমাদের ফ্যামিলি বাবা-মা কখনই মেনে নিবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা তোমাদের বাবা-মায়ের মতই। আমরাও মেনে নিতে পারি না। শৃঙ্খলা সবসময় শৃঙ্খল নয়।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান। এদিকে উপাচার্য বিরোধী শিক্ষকরা প্রবেশিকা অনুষ্ঠান প্রতিহত করার ঘোষণা দিলেও পরে তা প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয় প্রবেশিকা অনুষ্ঠান।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ১২শ’ শিক্ষার্থীর আতঙ্কে দিন কাটছে - dainik shiksha কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ১২শ’ শিক্ষার্থীর আতঙ্কে দিন কাটছে বিলেত সফরে শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha বিলেত সফরে শিক্ষামন্ত্রী ডলার সংকটে কঠিন হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা - dainik shiksha ডলার সংকটে কঠিন হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা সুপাড়ি চুরির সন্দেহে দুই ছাত্রকে নির্যা*তন - dainik shiksha সুপাড়ি চুরির সন্দেহে দুই ছাত্রকে নির্যা*তন ডক্টরেট ডিগ্রি পেলো বিড়াল - dainik shiksha ডক্টরেট ডিগ্রি পেলো বিড়াল নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে - dainik shiksha নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036258697509766