শিক্ষার মান অনেকাংশে নির্ভর করে শিক্ষক ও কমিটির ‍ওপর: উপমন্ত্রী

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি |

বাংলাদেশে শিক্ষার মানের নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, তা ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেছেন, “শিক্ষার মানের বিষয়ে যে প্রশ্ন তোলা হয়, তা সত্য নয়। হয়ত জনপ্রত্যাশা আরও বেশি। কিন্তু মান ভালো না থাকলে মানবসম্পদ সৃষ্টি হত না। উপমন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষার মান অনেকাংশে নির্ভর করে শিক্ষক ও স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির ‍ওপর।

“দেশে মানব সম্পদ ভালোই সৃষ্টি হচ্ছে, যার কারণে জিডিপি বাড়ছে। শিক্ষার মান যদি কমে থাকত, তাহলে মানব সম্পদ বাড়ত না।”

শনিবার চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকা আয়োজিত ‘শিক্ষায় চট্টগ্রাম : একগুচ্ছ প্রস্তাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় একথা বলেন সভার প্রধান অতিথি নওফেল।

“এটা হলো আমাদের সফটওয়্যার। আমাদের হার্ডওয়ারে মানে শিক্ষা অবকাঠামো খাতে বেশ উন্নয়ন হয়েছে। সফটওয়্যারেও উন্নতি ঘটাতে হবে।”

শিক্ষায় সরকারের বিনিয়োগের কথা জানিয়ে এই সংসদ সদস্য বলেন, “প্রচুর বরাদ্দ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া কারিগরি শিক্ষায় জোর দেওয়া হচ্ছে। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতি উপজেলায় যেন একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল করা হয়।”

নবীন রাজনীতিক ও উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, “ঠুনকো প্রতিশ্রুতি দিতে চাই না। অনেকে মনে করেন রাজনীতিবিদরা শুধু ভাষণ-স্লোগান দেয়। সেটা নয়, সমস্যার সমাধান করতে চাই। যে প্রতিশ্রুতি দেব, সেটা বাস্তবায়ন করতে চাই। সব করে দেব, সেটা বলতে চাই না।

“সরকারের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। আমাদের অবকাঠামো যাতে সর্বোচ্চ ব্যবহার হয় এবং টেকসই হয় সেজন্য শিক্ষায় দক্ষতা বাড়াতে চাই।”

স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়ে নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে স্বীকার করে উপমন্ত্রী বলেন, “আমরা রাজনৈতিক বাস্তবতার বাইরে নই। এ খাতের সব স্টেক হোল্ডারের সাথে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে চাই।”

পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দৃষ্টি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আবাসিক সুবিধাসহ স্কুল আমরা কেন করতে পারছি না।

“উনার সদিচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও সেখানে প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক কোনো দুর্বলতা আছে কি না, কোথায় দীর্ঘসূত্রতা হচ্ছে, সেটা দেখতে হবে।”

আলোচনায় চট্টগ্রামে মাত্র ৯টি সরকারি স্কুল থাকা, নগরীতে স্কুলের জন্য জমির সংকট, সরকারি স্কুলের ভবন স্বল্পতা, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত কলেজগুলোর শিক্ষক সংকট, নগরীর বাইরের স্কুলগুলোতে শিক্ষক স্বল্পতা, ডবল শিফট চালুর পরও শিক্ষক না থাকা এবং শিক্ষাবোর্ডের জনবল ঘাটতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহেদা ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক প্রদীপ চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, মাউশি’র উপ-পরিচালক মো. আজিজ উদ্দিন, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক অঞ্চল চৌধুরী।

আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জসিম উদ্দিন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জালাল উদ্দিন এবং নগরীর বিভিন্ন স্কুল কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকরা।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025029182434082