প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে তিনি কোষাগার থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা পান। এর আগে তিনি এমপিওভুক্ত ছিলেন। উপজেলা সদরের স্কুলটি এক ঘোষণায় সরকারি হয়েছে। বিধান মেনে অন্যদের সঙ্গে তার চাকরি সরকারিও হয়েছে। কিন্তু শ্রেণিকক্ষের শিক্ষক হিসেবে এলাকায় আলমগীরের পরিচিতি নেই। স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা তাকে চেনেন শিক্ষা অফিসের তদবিরকারক হিসেবে। তার সঙ্গে আছেন উপজেলার আরেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত তদবিরবাজ বিনিআমিন।
শিক্ষা বহির্ভুত এসব কাজে লিপ্ত থাকা আলমগীরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা হয়েছে নলছিটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এবং ঝালকাঠি জেলা শিক্ষা অফিসে। বিনিআমিনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জমা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র প্রিন্ট জাতীয় পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তার অফিসেও অভিযোগের কপি এসেছে।
অভিযোগে জানা যায়, শ্রেণিকক্ষে নয়, আলমগীর মাস্টারকে পাওয়া যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওভুক্তির আবেদন, সার্টিফিকেট হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য বিভিন্ন আন্ডাগ্রাউন্ড পত্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা, বদলি, নাম ও বয়স সংশোধনের জন্য দপ্তর-অধিদপ্তরের তদবির ইত্যাদি কাজে ব্যস্ত থাকতে। ভুইফোঁড় ও জামায়াতে ইসলামী নেতাদের মালিকানাধীন কথিত পত্রিকা/টিভির নামধারী সাংবাদিকদের সঙ্গে মিশে চাঁদাবাজি করার মাধ্যমে শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতা পেশার ক্ষতি করার কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। আলমগীরের কর্মকাণ্ড শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে ভুল ধারণা জন্মাচ্ছে। এছাড়া মফস্বল সাংবাদিকতা ফোরাম, মানবাধিকারের নানা অবৈধ দোকানের সঙ্গে যুক্ত আলমগীর মাস্টার।
নলছিটি ও ঝালকাঠির শিক্ষা অফিসের গণ্ডি পেরিয়ে আলমগীর মাস্টারের তদবির বাণিজ্য শিক্ষা ভবন, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরেও পৌছেঁছে।
জানতে চাইলে নলছিটির উপজেলা শিক্ষা অফিসার মু. আনোয়ার আজীম এবং ঝালকাঠির জেলা শিক্ষা অফিসার সুনিল চন্দ্র সেন বলেন, সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শিক্ষা বর্হিভুত অন্য কোনো কাজে যুক্ত থাকা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অভিযোগ তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।