শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

খুলনা প্রতিনিধি |

খুলনার দাকোপ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অহিদুল আলমের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের বিনোদন ভাতা প্রদানে অনিয়ম, জাতীয় করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কিছু প্রধান শিক্ষকের বেতন নির্ধারণে অসংগতি, সাধারণ শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, ওই শিক্ষা কর্মকর্তা বদলি আদেশের এক বছরের বেশি সময়েও নানা অজুহাতে কর্মস্থল ত্যাগ করেননি। প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালকের দপ্তরে দেওয়া অভিযোগ ও ভুক্তভোগী শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের মার্চে দাকোপ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন অহিদুল আলম। যোগদানের পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ তিন বছর হলে সাধারণত বিনোদন ভাতা ও ছুটি প্রাপ্ত হন। এ ক্ষেত্রে ২০১৯ সালে ৭৫ জন শিক্ষককে বিনোদন ভাতা দেন ওই শিক্ষা কর্মকর্তা। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই চাকরির বয়স তিন বছর পূর্ণ ছিল না। শুধু তা-ই নয়, আগের ছুটির তারিখ গোপন রেখে অনেককে একাধিকবার বিনোদন ভাতা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে একই সময়ে জাতীয় করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মধ্যে ১০ জনকে অনৈতিকভাবে বেতন-ভাতা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া উপজেলার ১১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিম্নমানের ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কেনা, নিজ অফিসকে হোমিওপ্যাথি চেম্বার হিসেব ব্যবহার, বয়স্ক শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’

চাকরির বয়স চার থেকে পাঁচ বছর পার করছেন—এমন কয়েকজন শিক্ষক জানান, বিনোদন ছুটির ক্ষেত্রে আর্থিক সুবিধা দিতে হয় শিক্ষা কর্মকর্তাকে। শুধু তা-ই নয়, সর্ভিস বুক জমা ও গ্রহণকালেও অফিসে টাকা দিতে হয়। চাকরির ভয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারছেন না তাঁরা। তাঁদের আরো অভিযোগ, ২০২০ সালের ১৫ মার্চ পটুয়াখালীতে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে বদলি হলেও সেখানে যোগ দেননি তিনি।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন

দাকোপ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অহিদুল আলম বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়।

 জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা বলেন, ‘জেলা দপ্তর এখনো কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কাল শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা - dainik shiksha মর্নিং স্কুলের ছয় সুবিধা উল্লেখ করলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0022830963134766