শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পাঠ্যবই বিতরণে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

রংপুর প্রতিনিধি |

শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যের সরকারি বই বিতরণে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিকট থেকে ১শ’ থেকে ৫শ’ টাকা করে আদায় করার অভিযোগ উঠেছে বই বিতরণকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ের শ্রেণীভেদে ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণে টাকা নেয়া হচ্ছে বলে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা জানান। ঘটনাটি রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার।

পীরগাছা উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১৭৮টি সরকারি, বে-সরকারি প্রাথমিক ৬২টি, কিন্ডার গার্টেন ৭৫টি, এনজিও স্কুল জাগরণী চক্র ২টি ও গাক ১টিসহ মোট ৩১৮টি প্রথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

২০২৩ সালে পীরগাছা উপজেলায় প্রাক-প্রাথমিকে ৯৮৮৫ জন, ১ম শ্রেণীতে ১১৫০০ জন, ২য় শ্রেণীতে ১১২০০ জন, ৩য় শ্রেণীতে ১০৮০০ জন, ৪র্থ শ্রেণীতে ১০৫০০ জন এবং ৫ম শ্রেণীতে ৯০০০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বিনা মূল্যে সরকারি বই বিতরণ করা হবে। প্রধান মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আজ পহেলা জানুয়ারী বই উৎসব হওয়ার কথা। এই বই উৎসবকে সামনে রেখে সেই অনুযায়ী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রাথমিক স্তরের প্রতিটি বিদ্যালয়ে বিনা মূল্যের সরকারি বই সরবরাহ করা হয়েছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নিকট থেকে নেয়া হয় ১০০ টাকা, বে-সরকারি প্রাথমিক ও কিন্ডার গার্টেন স্কুল প্রতি নেয়া হয়েছে ৫০০ টাকা। টাকা দেয়া থেকে রক্ষা পায়নি বই রাখা বিদ্যালয় নাছুমামুদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও।

একটি বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, আমরা একসঙ্গে ২৩টি বিদ্যলয়ের বই নিয়েছি। আমাদেরকে মাত্র ৫জন করে শিক্ষার্থীর বই দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এটিও রঞ্জু আলম স্যার আমাদের নিকট থেকে ৫শ’ টাকা করে নিয়েছেন। তবে পরবর্তীতে ১শ’ টাকা করে ফেরত দেয়া হয়েছে। একইভাবে কিন্ডার গার্টেন স্কুল থেকেও টাকা নেওয়া হচ্ছে। বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রতি বিদ্যালয়ের বিপরীতে ১শ’ থেকে ১২৫ জন করে শিক্ষার্থীর বইয়ের চাহিদা দেন। প্রতিবছর বই কম দেওয়া হয়। অথচ পরে বইগুলি বিক্রি করা হয়। গত বছরের অতিরিক্ত বইয়ের অর্ধেকই, প্রায় ৬ হাজার কেজি বই বিক্রি করা হয়েছে।

 

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রতিবাদ করলে কৌশলে বিভিন্ন ভাবে হয়রাণী করায় সরাসরি প্রতিবাদ করেন না। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশত প্রধান শিক্ষক বলেন, শাহীনুর আলম স্যার বিদ্যালয় প্রতি আমাদের কাছ থেকে একশ’ টাকা করে নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহীনুর আলমকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।

সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার রঞ্জু আলম টাকা নেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, যিনি টাকা দিয়েছেন তাকে নিয়ে আসেন। তিনি টাকা দিলেন কেন?


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গল্প - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গল্প বিসিএসে আনুকূল্য পেতে যেচে তথ্য দিয়ে বাদ পড়ার শঙ্কায় - dainik shiksha বিসিএসে আনুকূল্য পেতে যেচে তথ্য দিয়ে বাদ পড়ার শঙ্কায় বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ছাত্রলীগ নেতাকে উপাচার্যের পিএস নিয়োগ - dainik shiksha বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই ছাত্রলীগ নেতাকে উপাচার্যের পিএস নিয়োগ ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ জাল সনদে চাকরি করছেন এক বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষক - dainik shiksha জাল সনদে চাকরি করছেন এক বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষক কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক ছাত্র আন্দোলনে নি*হত ৯ মরদেহ তোলার নির্দেশ - dainik shiksha ছাত্র আন্দোলনে নি*হত ৯ মরদেহ তোলার নির্দেশ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027360916137695