ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ৬৯টি স্কুল ও মারাসায় কর্মরত শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন স্থানীয় শিক্ষকরা। শিক্ষকদের অভিযোগ, কোনো নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে করোনাভাইরাস মাহামারির মধ্যেই মনগড়াভাবে উপজেলায় স্কুল ও মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটের কপি জমা দেয়ার জন্য অলিখিতভাবে নির্দেশ জারি করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা।
শিক্ষকরা অভিযোগ করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এই করোনা পরিস্থিতিতেও তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে জমা দিচ্ছি। দেশের কোথাও কোনো উপজেলায় এভাবে নতুন করে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট জমা নিচ্ছেন না। তিনি কোন ক্ষমতার বলে এবং কোন বিধানমতে শিক্ষক কর্মচারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট তার কাছে জমা নিচ্ছেন তা জানা নেই।
তারা অভিযোগ করে আরও বলেন, চাকরি নেয়ার সময় যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে এবং নিজ নিজ শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট নিয়োগ বোর্ডের কাছে প্রদর্শন করে ও জমা দিয়েই নিয়োগ নিয়েছি। এছাড়া এমপিওভুক্তির সময় সকল শিক্ষক-কর্মচারীকে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র জমা দিয়েছি। কয়েক দফা যাচাই শেষে শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এখন কেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট তার কাছে জমা দেয়ার জন্য বলছেন। অনেকের অভিযোগ, কোনো অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য শিক্ষা কর্মকর্তা সবার সার্টিফিকেট জমা দিতে বলেছেন। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছেন শিক্ষক কর্মচারীরা।
জানা গেছে, শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন প্রথমে মুক্তাগাছা উপজেলা দায়িত্বরত ছিলেন। পরে ধোবাউড়া উপজেলায় তাকে বদলি করা হয়। পরে তদবির করে আবার মুক্তাগাছা উপজেলায় ফিরে এসেছেন তিনি।
শিক্ষা অফিসার শাহাদাতের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ অভিযোগের বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।