শিক্ষা কর্মকর্তার শাস্তি চান শিক্ষকরা

কুমিল্লা প্রতিনিধি |

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা পারভীন বানুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন উপজেলার শিক্ষকরা। তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া ও তাকে অন্য উপজেলায় বদলির দাবি জানিয়েছেন তারা। অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা পারভীন বানুর বিরুদ্ধে শিক্ষকদের করা অভিযোগ তদন্ত করতে অধিদপ্তরে কর্মকর্তারা আসলে বুধবার সকালে তারা মানববন্ধন করে অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তার শাস্তি ও বদলির দাবি জানান। 

সকালে শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা পারভীন ভানুর অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা উপজেলা কার্যালয়ের প্রবেশপথে মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জিয়ারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাখাওয়াত হোসেন, বাতাকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আক্তার হোসেন, গাজীপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান, উলুকাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামাল হোসেন, মধ্য বন্দরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা লুবনা মরিয়ম জামানসহ অনেকে। 

মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, তাদের ২০ থেকে ২৫ বছরের শিক্ষকতার জীবনে এ ধরণের বদমেজাজি শিক্ষা অফিসার কখনো পায়নি। শিক্ষা অফিসার লায়লা পারভীন বানু শিক্ষার্থীদের সামনেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে অসদাচরণ ও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে থাকেন। এই অফিসার এখানে থাকলে শিক্ষার মান দিন দিন ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে। কারণ এ অসদাচরণের কারণে শিক্ষকদের মন মরা হয়ে থাকতে হয়। সুতরাং শিক্ষকরাই যদি ভালো থাকতে না পারে তাহলে শিক্ষার্থীদের কিভাবে ভালো রাখবে আর ভালো পড়াবে। পড়াশোনার মানোন্নয়ন করতে হলে দ্রুত তার শাস্তি নিশ্চিত করে তাকে বদলি করার আহ্বান জানান শিক্ষকরা। 

শিক্ষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে শিক্ষকদের লিখিতভাবে গণশুনানি নেন তদন্তে আসা গবেষণা কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া। এসময় ৭৯ জন শিক্ষিক-শিক্ষিকা লিখিত শুনানি পেশ করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া বলেন, আমি তদন্তে এসে অভিযোগকারী শিক্ষকদের লিখিত বক্তব্য নিয়েছি, আমরা অভিযোগ গুলো যাচাই-বাছাই করে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাবো। পরে ওনারা সিদ্ধান্ত দেবেন।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা পারভীন বানু দাবি করেন, আমি আসার আগে শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে থাকতেন না এবং বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজগুলোও সঠিকভাবে করতেন না। আমি যোগদানের পর থেকে এসব বিষয়ে কোনো প্রকার সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় আমার বিরুদ্ধে শিক্ষক নেতারা মিথ্যাচার করছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো ভর্তি পরীক্ষা চালু হবে - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো ভর্তি পরীক্ষা চালু হবে সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দুই দিনে আবেদন প্রায় দুই লাখ - dainik shiksha সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দুই দিনে আবেদন প্রায় দুই লাখ শিক্ষক নিয়োগেও নামকাওয়াস্তে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা হয়: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগেও নামকাওয়াস্তে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা হয়: গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাঠ্যপুস্তক থেকে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার বিষয়বস্তু অপসারণের দাবি - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তক থেকে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার বিষয়বস্তু অপসারণের দাবি এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গল্প - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গল্প কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক পাঠ্যপুস্তকে একক অবদান তুলে ধরা থেকে সরে আসার আহ্বান হাসনাতের - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তকে একক অবদান তুলে ধরা থেকে সরে আসার আহ্বান হাসনাতের ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0023648738861084