প্রেষণে ঢাকার সূত্রাপুরের সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজর অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পাওয়া বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা ইফতেকার আলীর অবৈধ নিয়োগ, গাইড বাণিজ্যসহ নানাবিধ স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাহাড় সমান অভিযোগ তদন্তে অপর একজন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মো: ইউসুফকে ইফতেকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ২২ মে অধিদপ্তরে এক আদেশে এ কথা বলা হয়েছে।
ইফতেকার বি সি এস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কোষাধ্যক্ষ থাকাকালে কয়েককোটি টাকা মেরে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি বছর আগে তিনি ঢাকা কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক থাকাকালে অপর এক নারী শিক্ষকের সঙ্গে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কিন্তু ওই নারীকে বিয়ে করতে রাজী না হওয়ায় ইফতেকারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ আনেন ওই নারী শিক্ষক। শিক্ষা অধিদপ্তর ও সমিতির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজর অধ্যক্ষ ইফতেকার আলীর বিরুদ্ধে অবৈধ শিক্ষক নিয়োগ, নিষিদ্ধ গাইড বই সিলেবাসে অন্তর্ভুক্তি ও শিক্ষক হয়রানির অভিযোগ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে অধিদপ্তর থেকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়।
শিক্ষামন্ত্রীর কাছে দেয়া অভিযোগে বলা হয়, সেন্ট্রল উইমেন্স কলেজে ইফতেকার আলীর অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ অবৈধ। কলেজে অবৈধভাবে ৪৯ জন শিক্ষককেও নিয়োগ দিয়েছেন ইফতেকার আলী। এ ছাড়া টাকার বিনিময়ে নিষিদ্ধ গাইড বইও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্তি ও অনিয়মের প্রতিবাদকারী শিক্ষককে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।