বান্দরবান সরকারি মহিলা কলেজের কম্পিউটার শিক্ষার প্রভাষক বেগম ফারজানা শরমিন পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে আত্তীকৃত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২০শে জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুর্শিদা শারমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে বলা হয়, বান্দরবান সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক কম্পিউটার পদটি বিলুপ্তর করে বেগম ফারজানা শরমিন প্রভাষক (পদার্থবিদ্যা) এর ১টি পদ ভূতাপেক্ষভাবে ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের ১লা জুন হতে অস্থায়ীভাবে সৃজনে সরকারি মঞ্জুরী জ্ঞাপন করা হল।
বর্তমানে তিনি জাতীয় বেতন স্কেলের ৯ম গ্রেডে বেতন ভাতা পাবেন। মন্তব্যে বলা হয়, পদগুলো বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস রিক্রটমেন্ট রুলস্ (সাধারণ শিক্ষা) ১৯৮১ দ্বারা পূরণযোগ্য।
এ ঘটনায় সরাসরি বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে যোগদানকারী অনেক শিক্ষক বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে ওই কলেজে কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান ফারজানা। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে কলেজটি জাতীয়করণ হয়। বি সি এস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে কম্পিউটার বিষয়ের প্রভাষকের কোনো পদ নেই। তাই তিনি আত্তীকৃত হতে পারেননি। এমপিওভুক্ত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি স্টাফ কাউন্সিলের সদস্য হতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে সরাসরি প্রতিযোগীতামূলক বি সি এস পরীক্ষা দিয়ে সরকারি কলেজের শিক্ষকতায় প্রবেশকারীদের আপত্তির মুখে পড়েন। এ অবস্থায় কলেজের অধ্যক্ষ পরামর্শ চান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি কলেজ শাখার উপ-পরিচালক মোস্তফা কামালের কাছে। অধ্যক্ষকে বলা হয় যারা আপত্তি তুলবে তাদেরকে শোকজ করতে। এ ঘটনা জানাজানি হলে ‘নো বি সি এস নো ক্যাডার’ স্লোগান দিয়ে আত্তীকরণে অনিয়ম আর ঢালাওভাবে ক্যাডারভুক্তকরণের বিরোধীতাকারীরা আরও ক্ষুব্ধ হন। তাদের কেউ কেউ ফেসবুকে নানা মন্তব্য করেন।