শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির আদেশ জারি দু’একদিনেই

নিজস্ব প্রতিবেদক |

দু’একদিনের মধ্যেই জারি হতে পারে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত সরকারি কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষকদের পদোন্নতির আদেশ। তবে, পদায়নসহ প্রজ্ঞাপন হওয়ার সম্ভাবনা কম। ঠিক ৩৮০ জনও না আবার হাজার আশির বেশিও না। ব্যাচভিত্তিকও না আবার শুধুই খাঁটি শূন্যপদের বিপরীতেও না। পদোন্নতির সংখ্যা জানতে চাইলে দৈনিক শিক্ষাকে এমনটাই জানিয়েছেন একাধিক কর্মকর্তা। প্রশাসন ক্যাডার শাসিত শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদোন্নতিতে নানা হিসেব-নিকেশ হয়ে আসছে বহু বছর ধরে। যেটা প্রশাসন ক্যাডারে পদোন্নতির সময় দেখা যায় না। এ নিয়ে শিক্ষা ক্যাডারে ক্ষোভের শেষ নেই। এবারও একই অবস্থা।  

এদিকে দিল আফরোজ বিনতে আছির নামে একজন কর্মকর্তাকে শাস্তি থেকে রক্ষা করতে পদোন্নতির তালিকায় রাখার শেষ চেষ্টা করেছিলেন শিক্ষা অধিদপ্তরের কেউ কেউ। বরাবরের মতোই  গুজব ছড়ানো হয়েছিল ‘ক্যাডারের স্বার্থে রেজুলেশনে সই করছেন না স্যার’। কিন্তু বিএনপি-জামাত আমলে দশ শতাংশ কোটায় অধ্যাপক বনে যাওয়া স্যার রেজুলেশনে সই করেছেন সোমবার বিকেলেই। আবার ২৪বিসিএস ফোরামকেও দোষারোপ করা হয়েছিলো পদোন্নতি আটকে রাখার জন্য। একমাসের ব্যবধানে তারা বিরাট আর্থিক লাভ থেকে বঞ্চিত হবেন। তাই  পদোন্নতির আদেশ একমাস পেছাতে চান তারা।   

একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে বলেছেন, বাস্তবে দিল আফরোজের জন্যই আটকে ছিলো রেজুলেশনে সই। গত কয়েকমাসে মন্ত্রণালয় থেকে কয়েকবার চিঠি দিয়ে দিল আফরোজের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কাগজপত্র চাওয়া হলেও অধিদপ্তর তা তামিল করেনি। সর্বশেষ ১৬ ফেব্রুয়ারি চিঠি দেয় মন্তণালয়। 

এর আগে গত ৯ মে বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির প্রথম সভা শুরুর আগে আওয়াজ তোলা হয় তিন হাজার তিনশ আট জন শিক্ষককে পদোন্নতি দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের মধ্যে ২২তম ব্যাচের প্রায় সাড়ে পাঁচশ জন, ২৩ ব্যাচের ১৭ জন, ২৪ ব্যাচের এক হাজার আটশ আটচল্লিশ জন, ২৫তম ব্যাচের ১১২ জন ও ২৬ ব্যাচের ছয়শ ৪৬জন রয়েছেন।

কিন্তু এক হাজার ৮০ জনকে পদোন্নতি দেয়া হতে পারে। তারা সহকারি ও সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0062239170074463