শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ফের বৈঠক শিক্ষক নেতৃবৃন্দের

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীর সঙ্গে ফের বৈঠক করেছেন জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। প্রতিমন্ত্রী বুধবার (২৪শে জানুয়ারি) দুপুরে পরিবহন পুলে নিজ দপ্তরে শিক্ষক নেতৃবৃন্দকে ডেকে আনেন। অনশন ভেঙ্গে শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করে প্রতিমন্ত্রী তাদের বলেন, আজ কালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত জানাবেন। এর আগে গত দুইদিনে শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর কয়েক দফা নিষ্ফল বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে লিয়াজোঁ ফোরামের নেতা জিএম শাওন দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী আমাদের দাবির বিষয়ে ইতিবাচক আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের দাবি নিয়ে কথা বলবেন। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন তা আগামিকাল বৃহস্পতিবার (২৫শে জানুয়ারি) আমাদের জানাবেন প্রতিমন্ত্রী। আমাদের আবেদন প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি।

এর আগে সোমবার (২২শে জানুয়ারি) প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীর সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। ওই সাক্ষাতেও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়নি। তার পরের দিন মঙ্গলবার (২৩শে জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীর সঙ্গে শিক্ষক আরেক দফা বৈঠক করেন লিয়াজোঁ ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গত ১০ জানুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। ১৫ জানুয়ারি থেকে প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তার পাশে পাটি বিছিয়ে গায়ে কম্বল জড়িয়ে শুয়ে বসে আমরণ অনশন পালন করে যাচ্ছেন তারা। এসব শিক্ষকদের ছয়টি সংগঠন জোট ‘বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরাম’ এর ব্যানারে এ আন্দোলনের পরিচালিত হচ্ছে। বুধবার (২৪শে জানুয়ারি) শিক্ষকদের অনশন ১০ দিনে গড়িয়েছে। এদিন অনশন কর্মসূচির বিবিণ্ন পর্যায়ে বক্তব্য রাখেন লিয়াজোঁ ফোরামের আহবায়ক মো. আব্দুল খালেক, উপদেষ্টা মো. রফিকুল ইসলাম, মো. আবুল বাসার হাওলাদার, মো. জসিম উদ্দিন,মো. নজরুল ইসলাম রনি, মো. রফিকুল ইসলাম মন্টু, যুগ্ম আহবায়ক সাঈদুল হাসান সেলিম, জি এম শাওন,মতিউর রহমান দুলাল মোস্তফা ভূইয়া, আবুল হোসেন মিলন, প্রেস সচিব মো. এনামুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।

আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্যদূরীকরণে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। সারা দেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী এ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তারা বলেন, দেশের ৯৭ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারিভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তারা সেসব প্রতিষ্ঠান চালালেও নামে মাত্র বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। তা দিয়েই মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। অথচ ৩ শতাংশ সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা উচ্চমানের বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। এ কারণে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করতে হবে। এ দাবিতে আমরা রাজপথে নেমেছি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ - dainik shiksha সব মাদরাসার ওয়েবসাইট ও তথ্য হালনাগাদের নির্দেশ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক : দুই মন্ত্রণালয় যা করবে নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ - dainik shiksha নার্সিং-মিডওয়াইফারি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির উদ্যোগ স্থগিতের নেপথ্যে - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির উদ্যোগ স্থগিতের নেপথ্যে শিক্ষাখাতে অপপ্রচারে ভূয়া অভিভাবক ফোরাম, জাল সনদের অধ্যক্ষ - dainik shiksha শিক্ষাখাতে অপপ্রচারে ভূয়া অভিভাবক ফোরাম, জাল সনদের অধ্যক্ষ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0022718906402588