যশোরের শার্শা উপজেলার বেলতা ও রঘুনাথপুর গ্রামের মানুষ তাদের গ্রামে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে ইটভাটা স্থাপন চেষ্টার প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গ্রামবাসী এই স্মারকলিপি প্রদান করে ইটভাটা স্থাপন বন্ধের দাবি জানান।
স্মারকলিপিতে এলাকাবাসী উল্লেখ করেছেন, যেখানে ইটভাটি তৈরি করার জন্য আবেদন করা হয়েছে সেখানে বেলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কওমি মাদ্রাসা, এতিমখানা ও কওমি মহিলা মাদ্রাসা রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশেই তিন ফসলি জমিতে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ইটভাটা তৈরি করার জন্য বন ও পরিবেশ অধিদফতরে আবেদন করেছেন। সম্প্রতি বন ও পরিবেশ অধিদফতরের লোকজন এলাকায় গিয়ে স্থানটি দেখে এসেছেন। তখন তারা বিষয়টি জানতে পারেন।
স্থানীয়রা বলেন, এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ এবং ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় ইটভাটা তৈরি হলে তা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে। এমনকি পাশের যেসব তিন ফসলি জমি রয়েছে, সেই জমিতে ভালো ফসল হবে না। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপরও এর প্রভাব পড়বে। প্রধান সড়কের পাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হওয়ায় ইটভাটার ট্রাক চলাচলের কারণে ছোট শিশুরা দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে থাকবে। স্মারকলিপি দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আইনুল হক, ফারুক হোসেন, আবদুল মান্নান, সরোয়ার হোসেন, জাহিদ হাসান, তুহিন হোসেন, সরোয়ার হোসেন প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ স্মারকলিপি গ্রহণ করে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।