শিক্ষা ভবনের ইএমআইএস সার্ভার বন্ধ করলেন সেসিপের কর্মকর্তারা

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

শিক্ষক-কর্মচারীদের মাসিক বেতন-ভাতা প্রক্রিয়াকরণের ও বিতরণের কারিগরি শাখা ইএমআইএস সার্ভার বন্ধ করে দিয়েছেন চাকরি রাজস্বখাতে নেওয়ার দাবিতে আন্দোলনরত সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে তারা শিক্ষা ভবনের নতুন  ভবনে অবস্থিত ইএমআইএস সেলে ঢুকে সার্ভার বন্ধ করে দেয়। ওই সেলে কর্মরত সবাই সেসিপ প্রকল্পের অস্থায়ী কর্মকর্তা। বন্ধ হওয়ার ফলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন হাইস্কুল ও কলেজের প্রায় তিন লাখ শিক্ষকের বেতন-ভাতা বিতরণ বন্ধ থাকবে।  

আন্দোলনকারীরা দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, কর্মরত জনবলসহ সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) ১ হাজার ১৮৭টি পদ রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান ও শিক্ষা ভবনের গেটে তালা দেয়াসহ চার কর্মসূচি পালন করবেন তারা।

এদিকে গতকাল রোববার সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

কর্মকর্তারা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে চরম বৈষম্যের শিকার সেসিপ কর্মকর্তারা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন,  শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন সেসিপ প্রোগ্রামে প্রায় ৩০ শতাংশ নারী কর্মরত। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসগুলোতে চাকরিতে যোগদানের পর থেকে এখনো ইনক্রিমেন্টবিহীন স্কেলভিত্তিক বেতনে কর্মরত আছেন তারা। দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষিত, ১০-২২ বছরের কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই ১ হাজার ১৮৭ জনবলকে মানবেতর জীবন-যাপন থেকে মুক্তি দিতে পদগুলো জনবলসহ রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

তারা বলছেন, এসব পদ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বাই নেইমে পদ সৃজনের সম্মতি দিলেও অর্থ মন্ত্রণালয় এ পদগুলো রাজস্বখাতে স্থানান্তর করার সম্মতি দেয়নি। এ পরিস্থিতিতে বিপাকে ১ হাজার ১৮৭টি পদের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাই ওই পদগুলো রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবিতে গত কয়েকবছরে একাধিক কর্মসূচি দিলেও দাবি মানা হয়নি। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় তারা ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছেন। 

সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. আবদুল হাকিম বলছেন, সরকার ও এডিবি যৌথ অর্থায়নে ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সেসিপ প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়। সেসিপের ফলোআপ হিসেবে ২০০৭ থেকে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের জুন মেয়াদে এসইএসডিপি হাতে নেয়া হয় এবং এর ফলোআপ প্রজেক্ট হিসেবে সব কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি থেকে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) চালু করা হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির মূল্যায়ন ও বার্ষিক পরীক্ষার নির্দেশনা - dainik shiksha ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির মূল্যায়ন ও বার্ষিক পরীক্ষার নির্দেশনা রাজশাহী কলেজে নতুন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ - dainik shiksha রাজশাহী কলেজে নতুন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ রাষ্ট্রের কাছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা চাইনি : হাসনাত - dainik shiksha রাষ্ট্রের কাছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা চাইনি : হাসনাত ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৬৩১, আহত ১৯ হাজার - dainik shiksha ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৬৩১, আহত ১৯ হাজার সৃজনশীলেই হবে ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দের মাধ্যমিকের পরীক্ষা - dainik shiksha সৃজনশীলেই হবে ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দের মাধ্যমিকের পরীক্ষা বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেসব কর্মসূচি - dainik shiksha বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেসব কর্মসূচি একাদশের রেজিস্ট্রেশন শুরু ১৫ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha একাদশের রেজিস্ট্রেশন শুরু ১৫ সেপ্টেম্বর কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0049359798431396