শিক্ষা ভবনে হঠাৎ শিক্ষামন্ত্রী, যা দেখলেন যা বললেন

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শিক্ষা ভবন হঠাৎ পরিদর্শন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ  শিক্ষা ভবনে যান। প্রথমেই মহাপরিচালকের কক্ষে ঘণ্টা দুয়েক বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। এরপর দ্বিতীয় তলা থেকে বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে কাজের পরিবেশ দেখা শুরু করেন। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করেন।

শিক্ষা ভবনের দ্বিতীয় তলার ওয়াশরুম ও কয়েকটি কক্ষ অপরিচ্ছন্ন ও ঘিঞ্জি দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় শুধু দৈনিক শিক্ষার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। 

শিক্ষামন্ত্রী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের কাছে অপরিচ্ছন্নতা, নতুন ভবন নির্মাণের ব্যাপারে জানতে চান। তবে এ ব্যাপারে মহাপরিচালক সদুত্তর দিতে পারেননি। প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালাও নতুন ভবনের বিষয়ে কিছুই বলতে পারেননি।

বিভিন্ন কক্ষের অফিস সহকারীদের এলোমেলো ফাইল দেখে তা সাজিয়ে রাখার পরামর্শ দেন। ওয়াশরুমের অপরিচ্ছন্নতা দেখে তা প্রতিদিন একাধিকবার পরিষ্কার করার নির্দেশ দেন। প্রয়োজনে নতুন ওয়াশরুম নির্মাণেরও নির্দেশ দেন। শিক্ষা ভবনে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দেন। প্রয়োজনে প্রকল্পের অফিসগুলো শিক্ষা ভবন থেকে ভাড়া বাড়িতে সরানোর কথাও বলেন তিনি। যতদিন নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ না হয় ততদিন মূল ভবনের কর্মকর্তারা দ্বিতীয় ব্লকের ভবনে অফিস করার পরামর্শ দেন। 

মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মাধ্যমিক শাখার পরিচালকসহ অন্য পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনায় মন্ত্রী বিধি অনুযায়ী চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেন।

দীপু মনি বলেন, সারা দেশ থেকে শিক্ষকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ শিক্ষাসংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে শিক্ষা ভবনে আসে, কিন্তু যাঁরা সারা দেশের মানুষকে সেবা দেবেন তাঁরাই অপরিচ্ছন্ন রুমে ঠিকমতো বসতে পারেন না। আর কেন্দ্রীয় অফিসের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে সারাদেশের অবস্থা কী হবে?


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025589466094971