কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি, অস্থায়ী স্বীকৃতি, স্বীকৃতি নবায়ন ও শাখা খোলার অনুমতি আর দিতে পারবে না শিক্ষা বোর্ড। এ অনুমতি নিতে গেলে মন্ত্রণায়লয়ে আবেদন করতে হবে। সেখান থেকে সম্মতি পাওয়ার পর বোর্ড এসব অনুমতি দিতে পারবে। ছয় বছর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এ নির্দেশ এখনো বাস্তবায়ন শুরু করেনি যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। বোর্ডের কর্তারা বলছেন, তারা এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না। তাই অসন্তুষ্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ।
যশোর শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, কোন নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় খুলতে গেলে একটি নিদিষ্ট ফি বোর্ডে জমা দিয়ে আবেদন করে অনুমতি নিতে হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেয়ানোর জন্য একই নিয়মে অস্থায়ী স্বীকৃতি আবেদন করতে হয়। এর পাশাপাশি শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করে প্রতি বছর স্বীকৃতি নবায়ণ করতে হয়। এ সব কাজ যশোর শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠার পর থেকে করে আসছে।
জানা গেছে, পাঠদানের অনুমতি, অস্থায়ী স্বীকৃতি, স্বীকৃতি নবায়ন ও শাখা খোলার অনুমতি শিক্ষা বোর্ডগুলো আর দিতে পারবে না বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেশের প্রত্যেকটি শিক্ষা বোর্ডে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ জানুয়ারি চিঠি দেয়া হয়। অন্যান্য শিক্ষা বোর্ড চিঠির আদেশ অনুযায়ী কাজ করলেও যশোর শিক্ষা বোর্ড করেনি। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে এ বিষয়ে আরেকটি চিঠি যশোর শিক্ষা বোর্ডে দেয়া হয়। দ্বিতীয়বার চিঠি দেয়া হলেও সেই চিঠিটা আমলে নেয়নি যশোর বোর্ড কর্তৃপক্ষ। বরং তাদের নিয়মানুযায়ী যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ একটি নির্ধারিত ফি জমা নিয়ে বিদ্যালয়ের পাঠদানের অনুমতি, অস্থায়ী স্বীকৃতি,স্বীকৃতি নবায়ন ও শাখা খোলার অনুমতির দেয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল।
সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঁচ দিন আগে টেলিফোন করে এ বিষয়টি যশোর শিক্ষা বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীবকে জানানোর পর তিনি জানতে পারেন। মন্ত্রণালয় থেকে আরো বলা হয় ছয় বছর আগে জারি করা আদেশ সব শিক্ষা বোর্ডকে দেয়া হলে তারা নিয়ম মানছে। কিন্তু যশোর বোর্ড মানছে না। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
এ বিষয়ে যশোর শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিশ্বাস শাহীন আহমেদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে যোগদান করেছি। তখন বোর্ডের চলমান নিয়মে কাজ করেছি। এধরনের চিঠি মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষা বোর্ডে দিয়েছে তা আমার জানা ছিল না।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি আসার পরপরই আমি অন্যত্র বদলি হয়ে যাই। যে কারণে বিষয়টি আমার জানা ছিল না। মন্ত্রণালয় থেকে ফোনে না জানালে আমার জানা হতো না। বিদ্যালয়ের পাঠদানের অনুমতি, অস্থায়ী স্বীকৃতি,স্বীকৃতি নবায়ন ও শাখা খোলার অনুমতি আর দিতে পারবে না যশোর শিক্ষা বোর্ড। এখন থেকে এ কাজ আর করা হবে না। যারা বিদ্যালয়ের পাঠদানের অনুমতি, অস্থায়ী স্বীকৃতি, স্বীকৃতি নবায়ন ও শাখা খোলার অনুমতির জন্য বোর্ডে আবেদন করেছিল, তাদের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হবে। এ সংক্রান্ত চিঠি বোর্ডে ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের পাঠদানের অনুমতি, অস্থায়ী স্বীকৃতি,স্বীকৃতি নবায়ন ও শাখা খোলার অনুমতি নিতে হলে প্রতিবছর জানুয়ারি, মে ও সেপ্টেম্বর মাসে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর ইমেইলে আবেদন করতে হবে।