সহকারী শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুল ইসলামের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এদিকে ঘটনার পর থেকেই বিদ্যালয়ে যাচ্ছেন না জহুরুল ইসলাম। এছাড়া বিদ্যালয়ের দায়িত্ব অন্য কাউকে বুঝিয়ে না দেয়ায় সার্বিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে ওই স্কুলের সামনে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কে এক মানববন্ধনে তারা এই দাবি জানান। এসময় স্থানীয়রাও একাত্মতা প্রকাশ করে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে শনিবার (১৩ জুলাই) ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা প্রধান শিক্ষক জহুরুলের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এছাড়াও ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও আলাদা আরেকটি অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে ওই শিক্ষিকা জানিয়েছেন, অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুল ইসলাম চাকরিচ্যুতিসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন হয়রানি করছে। ফোনে কল দিয়ে এবং মেসেস করে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়া হতো।
অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যালয়ে এক পুরুষ শিক্ষক যখন একজন নারী শিক্ষককে যৌন হয়রানি ও কু-প্রস্তাব দেয় সেখানে ছাত্রীরা নিরাপদ না। এমন চরিত্রহীন প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানাই। প্রধান শিক্ষক জহুরুলের অপসারণসহ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, প্রধান শিক্ষক প্রভাব খাটিয়ে ওই শিক্ষিকাকে অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বারবার তাকে (প্রধান শিক্ষক) তার অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধের জন্য বলা হলেও তিনি শুনেননি। উল্টো ওই শিক্ষিকাকে চাকরিচ্যুতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের অপসারণসহ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। সহকর্মীর সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে আমারা সেটার বিচার চাই।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অর্জুনা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল আলম খান মাহবুব বলেন, শিক্ষিকা যৌন হয়রানির বিষয়টি নিয়ে মিটিং করা হয়েছিল। সেখানে প্রধান শিক্ষক দোষ স্বীকার করে বিদ্যালয় থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তবে তিনি এখনও লিখিত কোন বক্তব্য বা বিদ্যালয় হতে সরে যাননি। এছাড়া বিদ্যালয়েও আসেন না এবং কাউকে দায়িত্বও দেয়নি।