দু’দিনব্যাপি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠার ৪৭ বছর উদযাপন করছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
শুক্রবার সকাল ১০টায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিকাল ৪টায় জাতীয় চিত্রশালা ভবনের ২ ও ৩ নং গ্যালারীতে শুরু হয় একাডেমির সকল বিভাগ ও শাখার কার্যক্রমের সপ্তাহব্যাপি প্রদর্শনী। পরে সন্ধ্যা ৬টায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: বদরুল আরেফীন এবং স্বাগত বক্তৃতা করেন একাডেমির সচিব মো: নওসাদ হোসেন।
আলোচনা পর্ব শেষে যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করে স্পন্দনের শিল্পীরা। এরপর ‘ধন্য মুজিব ধন্য’ আমরা নতূন যৌবণেরই দূত’ গান দুটি সমবেতকণ্ঠে পরিবেশন করে শিল্পকলা একাডেমির শিশুশিল্পীরা। নৃত্য পরিবেশন করেন করেন ফারহানা চৌধুরী বেবী, অনিক বোস, শহিদুল ইসলাম বাবু, স্মিতা দে ও মুনমুন। দলীয়ভাবে কত্থক নৃত্য পরিবেশন করেন নিলুফার ওয়াহিদ পাপড়ি, সাজু আহমেদ ও ইমামা। ধামাইল নৃত্যের পরিবেশনায় অংশ নেন দীপা খন্দকার, সেলিনা হক ও সুলতানা হায়দার। মনিপুরি নাচের শাস্ত্রীয় পরিবেশনায় তামান্না রহমান, সুব্রত ও অর্থি। এরপর ওড়িশি নাচ পরিবেশন করেন মিনু হক, বেনজীর সালাম, মৈত্রী সরকার ও জসিম। নাচের পর সঙ্গীতের সুর ও আবৃত্তির পরিবেশনা রাঙিয়ে তোলে অনুষ্ঠান। আয়োজনটির আকর্ষনীয় পর্বে ছিল অ্যাক্রোবেটিক। সাইকেল ব্যালেন্স, বাস্টেক ব্যালেন্স, রিং ড্যান্স, ক্যাপ ড্যান্স, হাই সাইকেল ব্যালেন্সসহ চোখ ধাঁধাঁনো সকল পরিবেশনা নিয়ে হাজির হয় শিল্পকলা একাডেমির অ্যাক্রোবেটিক দল। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় একই মঞ্চে থাকছে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।