বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ রেহানার ছেলে ও সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি রাজধানীতে শিশুদের খেলাধুলা ও শরীরচর্চার জন্য আরো অনেক বেশি উন্মুক্ত মাঠ রাখার ওপর জোর দিয়েছেন।
গুলশানের পুরোনো ওয়ান্ডারল্যান্ডের জায়গায় শিশুদের জন্য বহুমুখী খেলার মাঠ গড়ে তোলারও আহ্বান জানান তিনি। গতকাল রবিবার ফেইসবুকে কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি লেখেন, কেন পুরাতন ওয়ান্ডারল্যান্ড একটি উন্মুক্ত খেলাধুলার কেন্দ্রে পরিণত হতে পারবে না? পুরোপুরি নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কে শিশুরা ভিড় করছে, খেলছে।
একইভাবে তারা খেলার সুযোগ পাচ্ছে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবে (জিওয়াইসি)। সেখানে যে কোনো মৌসুমের উপযোগী বহুমুখী পিচ তৈরি করুন এবং শিশুদের খেলতে দিন।
উচ্চ আদালতে মামলা নিষ্পত্তির পর ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে ওয়ান্ডারল্যান্ড অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ভেঙে দেয় রাজউক। এরপর সেখানে পাবলিক পার্ক নির্মাণের নির্দেশনা আসে আদালত থেকে। গুলশান কেন্দ্রীয় পার্কের কিছু অংশ ঢাকা সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে ওয়ান্ডারল্যান্ড চিলড্রেন পার্ক নির্মাণের কাজ শুরু করে মেসার্স ভায়া মিডিয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
কিন্তু ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের এক রিট আবেদনে উচ্চ আদালত ওয়ান্ডারল্যান্ডের ইজারা অবৈধ ঘোষণা করে পার্কের যাবতীয় স্থাপনা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়। এরপর সেখানে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে উচ্ছেদ অভিযান চলে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক গবেষণার ফলাফল থেকে উদ্ধৃত করে রবিবার আরেক পোস্টে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক বলেন, বিশ্বে শারীরিকভাবে সবচাইতে সক্রিয় শিশুদের তালিকায় বাংলাদেশের শিশুরা রয়েছে। কিন্তু ঐ প্রতিবেদন এটাও বলছে, এ দেশে প্রতি তিন জনের মধ্যে দুই জন শিশু দিনে এক ঘণ্টাও শারীরিক ব্যায়ামের সুযোগ পায় না।
সিআরআইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক নিজে নিয়মিত ফুটবল খেলেন। খেলাধুলার প্রতি তার রয়েছে অপরিসীম ভালোবাসা। অভিভাবকদের প্রতি তার আহ্বান, ‘আপনার সন্তানের মাথায় শুধু পড়ালেখার বোঝা চাপাবেন না।
তাদের শারীরিকভাবে সক্রিয় হয়ে উঠতে দিন।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ‘মিনি স্টেডিয়াম’ নির্মাণের উদ্যোগের কথাও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।