কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেছেন, শিশুদের সুকুমারবৃত্তি জাগিয়ে তোলার দায়িত্ব লেখকদের। শিশুসাহিত্যে আমাদের লেখকদের অবদান অসামান্য। আমরা বড় হয়েছি শিশুসাহিত্যের স্বর্ণযুগে। এখনও অনেক ভালো শিশুসাহিত্য হচ্ছে। সামনে আছে আরও অবারিত সুযোগ। আজ যারা শিশুদের কথা ভাবেন, শিশুদের জন্য লেখেন, তাদের আরও ব্যাপকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। ভাবতে হবে নির্লোভভাবে।
শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ শিশু একাডেমির রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত 'প্রারম্ভিক পর্যায়ের শিশুদের জন্য গল্প লেখার কৌশল' শীর্ষক কর্মশালায় সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শিশুদের জন্য এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন করায় চাইল্ড সেন্ট্রিক ক্রিয়েটিভ সেন্টার ফোর সি-কে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিশু একাডেমির পরিচালক আনজীর লিটন ও শিশুসাহিত্যিক রহিম শাহ। প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষক ও সেভ দ্য চিলড্রেনের রিড প্রজেক্টের সাবেক ব্যবস্থাপক উত্তম কুমার ধর ও শিশুসাহিত্যিক আহমেদ রিয়াজ। সকাল ৯টায় কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শিশু একাডেমির প্রকাশনা বিভাগের প্রধান ও শিশুসাহিত্যিক সুজন বড়ূয়া ও স্পর্শ ব্রেইলের প্রধান নাজিয়া জাবীন। সভাপতিত্ব করেন আয়োজক ফোর সি'র সভাপতি আশিক মুস্তাফা, সঞ্চালনা করেন ফোর সি'র সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মানিক।
উপস্থিত ছিলেন ফোর সি'র সেক্রেটারি অব প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট পান্থ বিহোস। কর্মশালায় সারাদেশ থেকে ৩২ প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন। বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় দৃষ্টিজয়ী শারমিন ইসলাম রত্না ও নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী আসিফ করিম পাটওয়ারীকে। ফোর সি'র সঙ্গে এ কর্মশালার সহযোগিতায় ছিল বাংলাদেশ শিশু একাডেমি।