শিশুর ফুসফুসে তিন বছর ধরে প্লাস্টিক!

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

মাঝেমধ্যেই জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টে ভুগতো ঘাটালের দাসপুরের বাসিন্দা ছ’বছরের রোহিত দলুই। এর কারণ যে এত গভীরে, ধারণাই করতে পারেননি মা মানবী দলুই। বিস্মিত এসএসকেএমের চিকিৎসকেরাও। তিন বছর আগে প্লাস্টিকের একটি বস্তু গিলে ফিলেছিল শিশুটি। সে জন্যই ফুসফুসের ডান দিক কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। রোববার সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচার করে যে বস্তুটি বার করলেন এসএসকেএমের ‘ইনস্টিটিউট অব ওটোরাইনোল্যারিঙ্গোলজি অ্যান্ড হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি’র চিকিৎসকেরা। সোমবার (১৫ জুলাই) আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

এ দিন শিশুটির মা জানান, দাদা যে কোনো বস্তু গিলে ফেলেছে তা বছর তিনেক আগেই বাড়িতে জানিয়েছিল রোহিতের ভাই। কিন্তু ছেলের কীর্তির কথা স্থানীয় চিকিৎসকেরা ধরতে পারেননি। এ দিন মানবী জানান, তারপর থেকে প্রায়ই সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টে ভুগতো ছেলে। কিছুতেই কাশি কমছিল না। গত মে থেকে ছ’বছরের শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পাঁশকুড়ার এক চিকিৎসককে দেখালে তিনি কলকাতার কোনো হাসপাতালে রোহিতকে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। শনিবার এসএসকেএমের বহির্বিভাগে ছেলেকে দেখান মানবী। আগেই রোহিতের ‘ফাইবার অপটিক ব্রঙ্কোস্কোপি’ পরীক্ষা হয়েছিল। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা সেই রিপোর্টে দেখেন, শিশুর ফুসফুসের ডান দিকের নীচের অংশে একটি বস্তু আটকে।

এরপরে বুকের এক্স-রে এবং যাবতীয় রক্তপরীক্ষার পরে দ্রুত অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত হয়। এসএসকেএমের ইএনটি বিভাগকে সম্প্রতি ‘ইনস্টিটিউট অব ওটোরাইনোল্যারিঙ্গোলজি অ্যান্ড হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি’তে উন্নীত করা হয়েছে। বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ সেনগুপ্তের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচারের জন্য গঠিত চিকিৎসক দলের অন্য সদস্যেরা হলেন অরিন্দম দাস, সায়ন হাজরা, মৃদুল জুনেজা এবং অ্যানাস্থেটিস্ট অয়ন দাস। এ দিন সন্ধ্যা ছ’টা থেকে এক ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে ফুসফুসে আটকে থাকা প্লাস্টিকের বস্তুটি বার করা হয়েছে।

চিকিৎসক অরিন্দম দাস বলেন, ‘‘তিন বছর ধরে বস্তুটি আটকে থাকায় বার বার ফুসফুসে সংক্রমণ হতো। ডান ফুসফুসের অংশ কাজ করছিল না বলে শিশুর শারীরিক সমস্যা হচ্ছিল। সফল অস্ত্রোপচারের পরে রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এখন ভালো আছে।’’

বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক অরুণাভ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘তিন বছর ধরে ফরেন বডি শরীরে আটকে রয়েছে, এমন ঘটনা বিরল। শিশুটি যে বেঁচেছিল সেটাই অবিশ্বাস্য। অ্যান্টিবায়োটিক দেয়ার পরেও যদি কারও কাশি না কমে তা হলে ফুসফুসে কোনো বস্তু আটকে রয়েছে কি না তা দেখা উচিত। এ ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছিল।’’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের মৌখিক পরীক্ষা শুরু ৯ মে প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নতুন নির্দেশনা ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha ঢাকার তাপমাত্রা দেখে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির বেশি হলে স্থানীয়ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে - dainik shiksha তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির বেশি হলে স্থানীয়ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষাখাত - dainik shiksha বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষাখাত আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha আরো ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0046839714050293