দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার মধ্য আঙ্গারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের শিশু ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সিরাজুল ইসলাম। তিনি শিশু শিক্ষার্থীদের অশ্লীল ভিডিও দেখান ও হয়রানি করেন বলে অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা।
বুধবার বিকেলে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীদের অভিভাবকরা এ বিষয়ে খানসামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে অভিভাবকরা বলেছেন, ৪২ নম্বর মধ্য আঙ্গারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছেন। তিনি পাঠদানের অজুহাতে ছাত্রীদের অশ্লীল ভিডিও দেখান ও যৌন হয়রানি করেন। এসব অপকর্মের কথা অভিভাবকদের জানাতে চাইলে বেত্রাঘাত ও পরীক্ষায় ফেল করানোর হুমকিও দেন।
স্থানীয়রা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, যৌন হয়রানির ঘটনা ছাত্রীদের মাধ্যমে অভিভাবকরা জানতে পারলে গত সোমবার প্রধান শিক্ষককে মৌখিকভাবে জানান। তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করেন। এতে কোনো সুরাহা না হওয়ায় তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।
মাহফুজা বেগম নামে এক অভিভাবক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা শ্রমজীবী মানুষ। বাচ্চাকে স্কুলে রেখে কাজে যাই। কিন্তু শিক্ষকের কাছে ছাত্রীরা নিরাপদ না থাকায় আমরা হতবাক ও লজ্জিত। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম মাহমুদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক গোপী চাঁদ রায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, যৌন হয়রানির বিষয়ে ছাত্রী ও অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার অনুপম ঘোষ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এমন অভিযোগ আসলেই দুঃখজনক। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ইউএনও রাশিদা আক্তার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।