হাসিন ক্লাস থ্রিতে পড়ে। সে তার আম্মুর কাছে বিজ্ঞানবাক্স আবদার করেছিলো। তিনি বলেছিলেন ফাইনাল পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করলে কিনে দেবেন। সে ভালো করলো, এবং পুরস্কারও পেলো! তার কাছে আগেও একটি বিজ্ঞানবাক্স ছিল। যার নাম চুম্বকের চমক। এবার পেল আলোর ঝলক। এরপর শুরু হলো এক্সপেরিমেন্ট! নতুন কিছু আবিষ্কারের উত্তেজনায় ছটফট করতে লাগলো।
‘আম্মু দেখো দেখো, আলো সোজা পথে চলে!’ ‘আম্মু দেখো দেখো, আলো বাউন্স খায়!’‘দেখো পেরিস্কোপ, “দেখো ক্যালাইডোস্কোপ!’
সেই হয়ে গেলো টিচার, আর মা হয়ে গেলেন ছাত্র!
হাসিন বলতে লাগলো, ‘নানা ভাইয়া আসলে আরো মজা হবে। আরো নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্ট করা যাবে। এখন আর রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি চাই না।’
রিমোট কন্ট্রোল গাড়ি হয়তো বা হাসিন একদিন নিজেই বানিয়ে ফেলবে আমরা বিশ্বাস করি। ক্লাস থ্রিতে পড়া অবস্থাতেই যার এত উৎসাহ বিজ্ঞান নিয়ে,সে এবং তার মত শিশুরাই তো গড়বে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ!
হাসিন প্রথম বিজ্ঞানবাক্সের নাম জেনেছিলো তাদের স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষক নাজমুল আহমেদের মাধ্যমে। তিনি একদিন ক্লাসে আলোর বিভিন্ন রকম এক্সপেরিমেন্ট দেখিয়েছিলেন আলোর ঝলক বিজ্ঞানবাক্সের মাধ্যমে। খেলায় খেলায় এইভাবে যে বিজ্ঞান শেখা যায় সেটা হাসিনের ধারণাও ছিল না! এর কিছুদিন পর তাদের স্কুলে আসে বিজ্ঞানবাক্সের ইভেন্ট টিমের ছেলেমেয়েরা। সেদিনের বিজ্ঞান ক্লাস তারাই নিয়েছিল।
তারা আরো অনেক এক্সপেরিমেন্ট দেখিয়েছিল। সেই থেকে হাসিনের বিজ্ঞানবাক্সের আবদার তার মায়ের কাছে। বিজ্ঞানবাক্স ব্যবহারের পর থেকে হাসিন বিজ্ঞানের প্রতি আরো আগ্রহী হয়ে উঠেছে, এবং পরীক্ষাতেও ভালো করছে। হাসিনের বিজ্ঞান শিক্ষক নাজমুল আহমেদ এখন জানেন, নিঃসন্দেহ যে বিজ্ঞানবাক্স একটি অত্যন্ত কার্যকর শিক্ষা উপকরণ।
বিজ্ঞানবাক্স সম্পর্কে আরও জানা যাবে এই লিংক থেকে। (https://bigganbaksho.com/)