শিষ্য সন্তোষের হাতেই ধরা খেলো ‘গুরু’ এসপি বাবুল

নিজস্ব প্রতিবেদক |

চট্টগ্রামে ভয়ংকর অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযানে বাবুল আক্তারের ছায়াসঙ্গী ছিলেন পরিদর্শক সন্তোষ চাকমা। চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে বাবুল আক্তারের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে গড়ে উঠেছিল সখ্যও। ডিজিটাল তদন্তে সন্তোষ চাকমার দক্ষতা থাকায় বাবুলও অভিযান ও তদন্তে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিতেন তাকে। মিতু হত্যার পর বাবুল আক্তার চাকরি ছেড়ে দিলে সন্তোষ চাকমাও সিএমপি ছেড়ে বদলি হয়ে চলে যান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই)। সেখানে গিয়ে বহু ক্লু-লেস মামলার সমাধানও করেছেন সন্তোষ। আলোচিত মিতু হত্যা মামলার তদন্তভার সন্তোষ চাকমার হাতে আসার পর সে মামলার তদন্ত ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায়। স্ত্রী মিতুকে খুনের দায়ে একসময়ের শিষ্য সন্তোষের হাতে গ্রেপ্তার হন 'গুরু' সাবেক এসপি বাবুল আক্তার।

মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ চাকমা সাংবাদিকদের বলেন, সিএমপিতে অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার ও উপপুলিশ কমিশনার হওয়ার পর বাবুল আক্তারের নেতৃত্বে খুব কাছ থেকেই কাজ করেছিলাম আমরা। তার নেতৃত্বে শীর্ষ সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, জঙ্গি থেকে শুরু করে ভয়ংকর অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনেছি। আমরা তখনও সবাই পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছি। মিতু হত্যা মামলার তদন্তভার পেয়ে এখনও পেশাগত দায়িত্ব পালন করছি। তারই অংশ হিসেবে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে স্ত্রী খুনের পরিকল্পনাকারী হিসেবে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে সন্তোষ চাকমা বলেন, দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে সিনিয়র অফিসার হিসেবে তার (বাবুল) কাছ থেকে অনেক দিকনির্দেশনা পেয়েছিলাম। সেই অর্থে গুরুর মতোই হয়ে উঠেছিলেন। আমরা জুনিয়র হিসেবে তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি, জানতে পেরেছি।

মিতু খুন হওয়ার সংবাদ পেয়ে অন্যদের মতো সেদিন বাবুল আক্তারের চট্টগ্রাম শহরের বাসায় ছুটে গিয়েছিলেন সন্তোষ চাকমা। বাবুল আক্তারের পাশে গিয়ে তাকে সান্ত্বনাও দিয়েছিলেন। পাশে থেকে শক্তি জুগিয়েছিলেন অন্য কর্মকর্তাদের মতো তিনিও। চার বছরের মাথায় এসে সেই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে হবে, তা ভাবনাতেও ছিল না এই কর্মকর্তার।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ১২শ’ শিক্ষার্থীর আতঙ্কে দিন কাটছে - dainik shiksha কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ১২শ’ শিক্ষার্থীর আতঙ্কে দিন কাটছে বিলেত সফরে শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha বিলেত সফরে শিক্ষামন্ত্রী ডলার সংকটে কঠিন হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা - dainik shiksha ডলার সংকটে কঠিন হচ্ছে বিদেশে উচ্চশিক্ষা সুপাড়ি চুরির সন্দেহে দুই ছাত্রকে নির্যা*তন - dainik shiksha সুপাড়ি চুরির সন্দেহে দুই ছাত্রকে নির্যা*তন ডক্টরেট ডিগ্রি পেলো বিড়াল - dainik shiksha ডক্টরেট ডিগ্রি পেলো বিড়াল নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে - dainik shiksha নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0060470104217529