ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের ছয় সপ্তাহের মাথায় এসে চারদিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় উভয় পক্ষ। এই চুক্তির ফলে একজন ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে ৩ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। হামাসের পক্ষ থেকে বুধবার (২২ নভেম্বর) জানানো হয়েছিলো, বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১০ টায় এই বন্দী বিনিময় শুরু হবে।
হামাসের ওই বক্তব্যের পর বুধবার মধ্যরাতে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবারের ( ২৪ নভেম্বর ) আগে কোনো ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে না ইসরায়েল। খবর আল জাজিরা। ফলে এদিন থেকেই যে বন্দী বিনিময় শুরু হচ্ছে না তা নিশ্চিত হলো।
ওদিকে এক প্রতিবেদনে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, বুধবার মধ্যরাতে এক আকস্মিক ঘোষণায়, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর একজন শীর্ষ সহকারী জানিয়েছেন, বন্দী বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ৫০ জন ইসরায়েলির মুক্তি হচ্ছে না। যদিও আগে ঘোষণা করা হয়েছিলো (বৃহস্পতিবার মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে) কিন্তু সেটা শুরু হবে শুক্রবার।
দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান তিজাচি হ্যানেগবি মুক্তি বিনিময় প্রক্রিয়া নিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন। যেখানে জানানো হয়েছে, জিম্মিদের জন্য আলোচনার ‘নিরন্তর অগ্রগতি’ এবং 'মুক্তি' উভয় পক্ষের মধ্যে মূল চুক্তি অনুযায়ী শুরু হবে, তবে সেটি শুক্রবারের আগে নয়’।
হারেৎজ নামে ইসরায়েলের এক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন উল্লেখ করে গণমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, চুক্তি অনুসারে যুদ্ধ অন্তত ৪ দিন স্থগিত থাকবে। যতক্ষণ পর্যন্ত চুক্তি চূড়ান্ত না হয় ততক্ষণ গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এর আগে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা যুদ্ধবিরতির চুক্তির অনুমোদন দেয়। পরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী চার দিনের মধ্যে ৫০ জন বন্দি মুক্তি পাবে এবং এ সময়টিতে লড়াই স্থগিত থাকবে। আর অতিরিক্ত প্রতি দশজন বন্দি মুক্তির জন্য এক দিন করে যুদ্ধবিরতি বাড়বে।