খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, শেখ হাসিনার আমলে দেশের মানুষ শান্তিতে আছে। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের সাথে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের আর্থ সামাজিক অবস্থা তুলনা করলে বলতে হবে এখন মানুষ হাজার গুণ ভালো আছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নিয়ামতপুর কলেজ মাঠে যুবলীগের নিয়ামতপুর উপজেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেবেন, তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস তৈরি করে দিয়েছেন। তাঁদের সন্মানীভাতা বাড়িয়েছেন। গৃহহীণ মানুষের ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। বয়স্কদের ভাতা দিচ্ছেন, বিধবারাও ভাতা পাচ্ছেন। এমন কোনো খাত নেই যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য-সহযোগিতা পৌঁছায়নি। দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। এসময় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে যুবলীগের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান।
বিএনপির একদফা আন্দোলন কী তা জনগণ জানতে চায় উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার আরো বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ দেশে আর আসবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অবসান হয়েছে আদালতের নির্দেশে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকবেন এবং নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
তিনি আরো বলেন, কৃষকবান্ধব সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে দেশে খাদ্য সংকট হয়নি, হবেও না। কৃষকের জন্য সরকার ভর্তূকি মূল্যে সার দিচ্ছে। বিনামূল্যে বীজ ও কৃষি উপকরণ দিচ্ছে। কৃষক তার ফসলের নায্য মূল্য পাচ্ছে অথচ বিএনপির আমলে সার চেয়ে কৃষক গুলি খেয়েছিলো। প্রাণ গিয়েছিল ১৯ জন কৃষকের। তারা বলতো বেশি ফসল ফলালে বিদেশি সাহায্য পাওয়া যাবেনা। তারা এদেশকে ভিক্ষুকের দেশ জানাতে চেয়েছিলো।
তিনি বলেন, এ বছর দেশে বোরো ও আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। খাদ্য ঘাটতি নেই, আমদানির দরকারও হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। এদেশের কৃষক প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়েছে। কৃষক উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশে আর দুর্ভিক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আনোয়ারুজ্জামান সাগরের সভাপতিত্বে সন্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ।