দৈনিক শিক্ষাডটকম, শেরপুর : শেরপুরের পাকুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ, অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এ অভিযোগ দায়ের করেন বিদ্যালয়ের জমিদাতা মো. হাবিবুর রহমান হবি ও মো. নবী হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ৩ সেপ্টেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অফিস সহকারী জহুরুল হক মারা যান। ফলে ওই পদটি শূন্য হয়। এমতাবস্থায় দীর্ঘদিনের অবৈধ কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নওশাদ আলী সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গোপনে শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে শূন্য পদটিতে প্রধান শিক্ষক নওশাদ আলীর ছেলে খায়রুল ইসলামকে (নাহিদ) নিয়োগ দেন।
এদিকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের ছেলের বউ হাবিবা ইয়াছমিন তামান্না (ইনডেক্স নং- N56792346) ক্লিনার পদে চাকরিতে কাগজ-কলমে যোগদান করলেও সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলন ছাড়া ওনাকে স্কুলে কখনো পাওয়া যায়নি। অপরদিকে ২০১৯ সালে হাই সেকশন এমপিওভুক্ত হওয়ায় ওই এমপিওতে কম্পিউটার শিক্ষক নজরুল ইসলাম (ইনডেক্স নং-N1073005) চাকরির বয়স ১০ বছর না হতেই প্রধান শিক্ষককে ম্যানেজ করে অর্থের বিনিময়ে অবৈধভাবে নবম গ্রেডে সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। এছাড়া নতুন হাই-সেকশন এমপিওতে মো. আব্দুল মান্নান (ইনডেক্স নং-N56792346) রেহেনা মুরছালিন (ইনডেক্স নং-N56792345) এই দুই সহকারি শিক্ষক ইতোমধ্যে প্রধান শিক্ষককে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে নবম গ্রেডে সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছেন।
এছাড়া প্রধান শিক্ষক ও ভুয়া কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের নানা ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় এবং প্রতিষ্ঠানে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলছেন জমিদাতা মো. হাবিবুর রহমান হবি ও নবী হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নওশাদ আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. রেজুয়ান একটি অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগকারী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরও অভিযোগ দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ যে নির্দেশনা দিবেন সে মোতাবেক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।