শেরপুরে ২৪৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ

শেরপুর (বগুড়া) |

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ২৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের ঘটনা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে স্মরণীয় করে রাখতে উপজেলা প্রশাসন এই উদ্যোগ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও পরিচালনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে সম্প্রতি সভা করা হয়। সেখানে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।

উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, এ উপজেলায় ৪৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৪২টি দাখিল ও ১৬টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসা, ৬টি কলেজ, ৬টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে এরমধ্যে মাত্র ৯-১০টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে। বাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে শহীদ মিনার নেই। এছাড়া এই উপজেলায় ১৩৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যার একটিতেও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য অদ্যবধি পর্যন্ত কোন শহীদ মিনার গড়ে ওঠেনি। এরমধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪০-৪৫হাজার, দাখিল, আলিম, ফাযিল, কামিল ও এবতেদায়ি মাদ্রাসায় প্রায় ২০হাজার এবং মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২৫হাজার ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৫বছর পেরিয়ে গেলেও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর স্থায়ী কোন ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় সাধারণ মানুষ আজ ভাষা শহীদদের নাম পর্যন্ত ভুলে যেতে বসেছেন। এমনকি আগামির ভবিষ্যৎ ও জাতীর কর্ণধার বলে বিবেচিত শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের অবস্থাও একই।

গোলাম রব্বানী, শাহাদত হোসেন, আনিছুর রহমান ঠাণ্ডু, শহিদুল ইসলাম, শাহিনুর রহমান, আবু রায়হানসহ একাধিক অভিভাবক জানান, তাদের শিশু সন্তানরা যে সব প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করেন সেখানে কোন শহীদ মিনার নেই। ফলে শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের নাম ও আত্মত্যাগের কৃতকর্ম কেবল বইপুস্তকে যতটুকু পাচ্ছে তাই বুলি আওড়িয়ে মুখস্ত করে চলছে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্মৃতিস্তম্ভ না থাকায় তাদের কোন বাস্তব ধ্যান ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে না। তারা আরও জানান, বিদ্যালয়গুলোতে গিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পারে না। তাই কলাগাছ, বাঁশ-কাঠ দিয়ে শহীদ মিনার বানিয়ে ২১ফেব্র“য়ারি দিবসটি পালন করেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ জনগুরুত্বপুর্ণ এলাকাগুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণ করা জরুরি বলে মনে করেন এসব অভিভাবকরা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সিরাজুল ইসলাম দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, অনেক আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণ করা উচিত ছিল। কিন্তু তা করা হয়নি। তবে যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সে মোতাবেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে বলে এই কর্মকর্তা দাবি করেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.010032892227173