দৈনিক শিক্ষাডটকম, ঝালকাঠি : ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরতদের অবহেলায় বৈদ্যুতিক পাখা, বাতি, বাথরুম ভাঙচুর করেছেন এসএসসি পরীক্ষার্থীরা।
রোববার দুপুরে বিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিত (তত্বীয়) পরীক্ষা শেষে এ ঘটনা ঘটে। এতে সরকারি লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন আসবাবপত্র নষ্ট হয়েছে।
জানা যায়, কেন্দ্রসচিব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা এএসএম মাসুম বিল্লাহ।
এ বিষয়ে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি না হয়ে এড়িয়ে যান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দোতলায় ২০৩ নম্বর কক্ষে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৩২৪৫৯ থেকে ২৩২৪৭৩ পর্যন্ত রোল নম্বরধারী ১৫ জন এবং উদ্বোধন বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৩২৬০৫ থেকে ২৩২৬২৯ পর্যন্ত ১৫ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন।
ওই কক্ষের চারটি বৈদ্যুতিক পাখা, তিনটি টিউবলাইট এবং কক্ষ সংলগ্ন প্রসাধন রুমে ৬টি ওয়াশরুম/বাথরুমের দরজা, ফ্ল্যাশপ্যান, কমোট ভাঙচুর করা হয়। ২০৫ নম্বর কক্ষে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৩২৪২৮ থেকে ২৩২৪৪৩ পর্যন্ত রোল নম্বরধারী ১৬ জন এবং পৌর আদর্শ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৪২৫১৪ থেকে ২৪২৫২৮ পর্যন্ত ১৫ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। ওই কক্ষের দুটি বৈদ্যুতিক পাখা এবং দুটি টিউবলাইট ভাঙচুর করে তারা।
বিদ্যালয়ের কর্মচারী (আয়া) মাকসুদা বেগম জানান, পরীক্ষা শেষ হলে পরীক্ষার্থীরা হৈ-হুল্লোড় করে নেমে যায়। পরে রুম পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখি সব ভাঙাচোরা। তখন স্যারেরা দায়িত্ব পালন শেষ করে চলে গেছেন।
বিদ্যালয় ভাঙচুরের খবর পেয়ে সাংবাদিকেরা ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহ করার সময় ক্যাম্পাসে আসেন ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রসচিব মাওলানা এএসএম মাসুম বিল্লাহ। তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান- এ বিষয়ে আমি কিছুই বলবো না। যা বলার প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব বলবেন। বলেই তিনি সাংবাদিকদের সামনে থেকে চলে যেতে প্রস্তুতি নেন। সাংবাদিকরাও পিছু নিলে তিনি একটি রুমে ঢুকে দরজা আটকিয়ে দেন।
কেন্দ্রসচিব এবং ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম জানান, আমি ছুটিতে আছি। ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন মাসুম বিল্লাহ স্যার। তবে ভাঙচুরের ঘটনা শুনেছি।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম জানান, বিষয়টি শুনেছি। গুরুত্বসহকারে দেখছি।