ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর আঘাতে শ্যামনগর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে উপকূলীয় গাবুরা, পদ্মপুকুর, মুন্সিগঞ্জ, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া, রমজাননগর ও কৈখালী ইউনিয়নে বেশিরভাগ কাঁচা ঘরবাড়ি বিদ্ধস্ত হয়েছে। অধিকাংশ মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। গাছ ভেঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন মিয়া জানান, ১২টি ইউনিয়নে ১৬ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়। তার মধ্যে অতি বৃষ্টির কারনে ২০ শতাংশ আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারুক হোসাইন সাগর জানান, উপজেলায় ১৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ১৬ হাজার ৩২৮ টি মৎস্য ঘেরের মধ্যে ৩ হাজার ২৬৫টি প্লাবিত হয়েছে। এতে সাড়ে ৬ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে।
গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যন জি.এম মাসুদুল আলম, বুড়িগোয়ালিনী চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল, পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, রমজান নগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন, আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু, মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়ল ও কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম জানান, ইউনিয়নের অধিকাংশ কাঁচা ঘর বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গাছ ভেঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান জানান, চার ঘন্টা ব্যাপী ঘূর্ণিঝড়ে ১২টি ইউনিয়নে ১৭ হাজারেরও বেশি কাঁচা ঘরবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিদ্ধস্ত হয়েছে। তাছাড়া আধাপাঁকা ঘরবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আংশিক ও পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উপজেলায় ২৭১টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৭৫ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেছে এবং তাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।