শিক্ষক সংকট, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনসহ নানা সমস্যায় ধুঁকছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের চরবংশী মহিলা মাদ্রাসা। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৯৩ সালে সৌদি সরকারের অর্থায়নে নির্মিত বিদ্যালয়ে দোতলা ভবনটি বর্তমানে পরিত্যক্ত। নতুন ভবন না থাকায় ওই ভবনের বারান্দায় ক্লাস করছে ছাত্রীরা।
সরজমিনে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চরবংশী ইউনিয়নের চরইন্দ্ররীয়া গ্রামে শিক্ষাবঞ্চিত নারীদের জন্য সরকারি ১৬ শতাংশ জায়গার সাইক্লোন সেল্টারে মহিলা মাদ্রাসাটি ১৯৭৩ সালে স্থাপন করা হয়। এ উদ্যোগে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন তত্কালীন বাসিন্দা হাফেজ সালে আহম্মেদ। এসময় ৬ জন শিক্ষক ও প্রায় ৫০ জন ছাত্রী নিয়ে শুরু হয় শিক্ষা কার্যক্রম।
কয়েক বছর এলাকার আরো দুই ব্যক্তি মাদ্রাসা সংলগ্ন আরো ২০ শতাংশ জমি দান করেন। ওই বছরই নতুন স্থানে একটি টিনশেডে ৫ম থেকে দাখিল পর্যন্ত চলতে থাকে কার্যক্রম। ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হয়। পরে আশ-পাশের লোকজনের বিভিন্ন দানের টাকা আরও ৪৩ শতাংশ জমি মাদ্রাসার নামে ক্রয় করে গড়ে উঠে ৬৩ শতাংশ জমির উপর মাদ্রাসাটি।
মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মো. সহিদ উল্যা জানান, বর্তমানে এখানে ১৫ জন শিক্ষক ও কর্মচারী আছেন। কিন্তু পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য তা অপর্যাপ্ত। এছাড়া নতুন ভবন না থাকায় শিক্ষার্থীদের বসার পর্যাপ্ত জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি গাজী মো. নাজিম উদ্দিন জানান, পর্যাপ্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা না থাকায় শিক্ষার মানোন্নয়ন হচ্ছে না। সীমানা প্রাচীর না থাকায় শিক্ষার্থীরা বখাটেদের উত্ত্যক্তের শিকার হচ্ছে। বিষয়গুলো জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম সাইফুল হক বলেন, আমি এখানে নতুন আসায় মাদ্রাসার এসব সমস্যা জানা ছিল না। দ্রুত সরজমিনে পরিদর্শন করে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।