সিরাজগঞ্জ তাড়াশের সিলোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে শ্রেণিকক্ষ সঙ্কটে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত গ্রামীণ শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াতে স্থাপিত হয় বিদ্যালয়টি।
১৯৯৩-৯৪ অর্থ বছরে টিনের চাল আর মাটির ঘর ভেঙে চার কক্ষ বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করে দেয় ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ। এরপর থেকে আর বিদ্যালয়টির কোনো সংস্কার করা হয়নি। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শ্রেণিকক্ষ সঙ্কটে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের মূল ভবনের পূর্বপাশে উপর সিলোট-নামা সিলোট আঞ্চলিক সড়কের গা ঘেঁষে একটি শ্রেণিকক্ষ। ছোট্ট কক্ষটির তিন পাশে কোনো বেড়া নেই। সেখানেই শিশু শ্রেণির ছাত্রছাত্রীর পাঠদান চলছে। স্থান স্বল্পতায় গাদাগাদি বসে আছে শিশুরা। মাঝখানে সুবিধামতো বই-খাতা রাখার জায়গা পর্যন্ত নেই।
প্রখর রোদ আর রাস্তার ধুলা এসে পড়ছে তাদের শরীরে। বিদ্যালয়টির অফিস কক্ষের অবস্থা আরও শোচনীয়। একেবারে ছোট এ কক্ষটিতে চারজন শিক্ষককে সঙ্কুচিত হয়ে বসতে হচ্ছে। অফিস কক্ষের ভেতরে হাঁটাচলা করাও মুশকিল।
শিক্ষার্থীরা জানায়, শ্রেণিকক্ষ সঙ্কটে বছরের পর বছর ধরে তাদের প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এতে তাদের বই-খাতা আর পোশাক নোংরা হয়। এভাবে তাদের পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটে।
উপর সিলোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান জানান, প্রয়োজনের তুলনায় শ্রেণিকক্ষ অপ্রতুল। স্লিপ ফান্ডের টাকায় অতিরিক্ত কক্ষটি তৈরি করা হয়েছে। সেখানেও গাদাগাদি করে বসতে হয় শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। ২০১৭ সালে উপজেলা শিক্ষা অধিদফতর বরাবর প্ল্যান এস্টিমেট দেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়টিতে আরও একটি ভবন হলে ভালো হয়।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তাড়াশ উপর সিলোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্ল্যান এস্টিমেট সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে শ্রেণিকক্ষ সঙ্কট কেটে যাবে।