সরকারের নীতিমালা উপেক্ষা করে বেসরকারি স্কুল ও কলেজে এখনো ৬০ বয়সোর্ধ্ব অধ্যক্ষ এবং প্রধান শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। অথচ সরকার ৬০ বয়সোর্ধ্ব অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে গত বছরের ১ জুন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্কুল কলেজ প্রধান হিসেবে ৬০ বয়সোর্ধ্ব যাঁরা রয়েছেন সকলেই অবৈধভাবে রয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন নিজামুল হক।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত বছরের ১২ জুন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো অনুমোদন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালায় বলা হয়, বেসরকারি স্কুল কলেজে অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকের অবসরের বয়স ৬০ বছর। এর পরে কোনো অবস্থাতেই প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষকে পুনঃনিয়োগ বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
আর একই বছরের ১ আগস্ট বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ড থেকে জারি করা এক আদেশে বলা হয়, ‘৬০ বছর পূর্ণ হবার পরও যারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুনঃনিয়োগ/চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত আছেন তাদের নিয়োগ নীতিমালা প্রকাশের তারিখ থেকে বাতিল করা হলো।’ কিন্তু সরকারের এ সংক্রান্ত আদেশ স্কুল-কলেজে উপেক্ষিত। কলেজের ক্ষেত্রে গভর্নিং বডি ও স্কুলের ক্ষেত্রে ম্যানেজিং কমিটি সরকারের এ নীতিমালা মানার ক্ষেত্রে উদাসীন বলে জানিয়েছেন শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা।
তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি এসব স্কুল ও কলেজে পুনঃনিয়োগ বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছেন। আর ডিগ্রি কলেজের ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের ক্ষেত্রে শিক্ষাবোর্ড এসব নিয়োগ অনুমোদন করে।
অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপ-পরিচালক এনামুল হক হাওলাদার বলেন, নীতিমালা না মেনে কোন কোন কলেজে অধ্যক্ষ রয়েছেন এ সংক্রান্ত তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে অভিযোগ পেলে এ সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, অধ্যক্ষকে দায়িত্ব হস্তান্তর করে বিদায় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। অধ্যক্ষ পদ শূন্য হলে চুক্তিভিত্তিক বা পুনঃনিয়োগ দেওয়া হবে। উপাধ্যক্ষ বা জ্যেষ্ঠতম শিক্ষকদের দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।