দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: ফেসবুকে সংসদ সদস্যদের বেতন-ভাতা নিয়ে সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের দেওয়া স্ট্যাটাসের ক্ষোভ ঝাড়লেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, ‘আমাদের একজন সংসদ সদস্য। নামটা বলতে চাই না। তিনি নতুন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ফেসবুকে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে আমরা সবাই ভুক্তভোগী।’
মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে মুজিবুল হক এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, তিনি (সুমন) বলেছেন যে, এমপিরা কত টাকা বেতন পান? তারা তো বলেন না, গোপন করেন। ওই সংসদ সদস্য বলেছেন, ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা বেতন (মাসিক) পেয়েছেন। আমরা কত টাকা বেতন পাই তা লুকানোর কিছু নেই, ওয়েবসাইটে গেলে পাওয়া যাবে।
চুন্নু উল্লেখ করেন, তিনি (সুমন) আরও বলেছেন, তিন মাসের মধ্যে ২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। সেটা কীভাবে পেলেন? ৩ কোটি টাকা গমের জন্য আর বাকি ২৫ কোটি টাকা পেয়েছেন রাস্তার জন্য।
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ এ নিয়ে স্পিকারের উদ্দেশে বলেন, ‘এই ২৮ কোটি টাকা কি আমি পেয়েছি, আপনি (স্পিকার) পেয়েছেন? প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন? ইতিমধ্যে ফেসবুক দেখে আমাকে অনেকেই বলছেন যে, ২৮ কোটি টাকা পেয়েছেন, এই টাকা কই? তিনি বলেছেন ২৫ কোটি টাকা পেয়েছেন, কিন্তু আমরা তো পাইনি।’
তিনি বলেন, ‘শুধু তাই নয়, তিনি (সুমন) আরও বলেছেন যে, এমপি হলে যদি এত লাভ হয়, তাহলে আরও আগে এমপি হতাম।’
স্পিকারের উদ্দেশে চুন্নু বলেন, ‘আপনি এই সংসদের অভিভাবক। আমাদের কোনো সদস্য যদি এমন কোনো কথা বলেন, যে কথায় প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারসহ ৩৪৯ জন এমপি (সায়েদুল হক সুমন ছাড়া) সম্পর্কে ভুল বার্তা যাবে। তার সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করার জন্য যদি এ ধরনের কথায় ভুল বার্তা যায়, বিষয়টা আপনি দেখতে পারেন। তাই অভিভাবক হিসেবে ওই সংসদ সদস্যকে ডেকে তাকে কী করবেন, ব্যবস্থা নেবেন।’
শিক্ষকদের অবসর সুবিধা পেতে হয়রানির অভিযোগ : স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, ‘সরকার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য অবসর-ভাতা ও কল্যাণ ট্রাস্ট করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, এ সুবিধা পেতে শিক্ষকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অবসরে যাওয়ার দুই-তিন বছর পরও সুবিধা পাচ্ছেন না। অনলাইনে আবেদন করার পর বলা হয় আবেদন পাওয়া যায়নি।’
তিনি বলেন, একাধিক ব্যক্তি তার কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। তিনি গতকাল দুই ঘণ্টা চেষ্টা করেও কল্যাণ ট্রাস্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারেননি। পরে তিনি মাউশির (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর) মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেন। মহাপরিচালক জানান, অর্থের অভাবে এ অবস্থা। তবে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন তিনি কিছু অর্থের ব্যবস্থা করবেন।