সত্যের লড়াইয়ে শিক্ষক শ্যামল কান্তির জয় হবে

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী |

নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত আবার জাতীয়ভাবে আলোচনায় এসেছেন। তবে এবার তাকে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক কারাগারে অবস্থান করতে হচ্ছে। তার এই জেলপ্রাপ্তি আইনি বিচারে কতটা ন্যায্যতা পাবে সেটি পরে আদালতের চূড়ান্ত রায়ের পর দেশবাসী জানতে পারবে। আপাতত দেশের মানুষ জেনেছে যে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী একটি পরিবারের সদস্য এবং জাতীয় পার্টির সাংসদ সেলিম ওসমান তাকে হেনস্থা করার জন্য সর্বশেষ কথিত ঘুষ গ্রহণের মামলায় জড়ানোর ফলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন।

২৭ মে ২০১৭ তারিখে একটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, পিয়ার সাত্তার স্কুলের সামনে পূর্বে বিদ্যমান পুকুরে বন্দর উপজেলা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আবু জাহের মাছ চাষ করতেন। পরবর্তীতে স্কুলের নামে সরকারি বরাদ্দ আসায় পুকুরটি ভরাটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু সাংসদ সেলিম ওসমান পুকুরটি ভরাট না করতে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে নির্দেশ দিলেও প্রধান শিক্ষক তা আমলে না নিয়ে সরকারি বরাদ্দ ব্যবহার করে ওই পুকুরটি ভরাট করেন। আর এতে করেই ওই প্রভাবশালী সাংসদ প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তির ওপর ক্ষিপ্ত হন- যার প্রথম প্রতিক্রিয়া হিসেবেই ২০১৬ সালের ১৩ মে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগ তুলে শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে লাঞ্ছিত করেছেন। সাংসদের এই স্বেচ্ছাচারিতা ও নির্লজ্জ দুর্বৃত্তপনার ভিডিও সামাজিক ও গণমাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশব্যাপী শ্যামল কান্তির পক্ষে ব্যাপক সহানুভূতি তৈরি হয়, তখন সবাই বুঝতে পেরেছিলেন যে বাস্তবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার মতো কোনো ঘটনা ওই স্কুলে ঘটেনি বরং সাংসদের রোষানলে পড়ে এমন একটি ভিত্তিহীন এবং সাম্প্রদায়িকতাপুষ্ট অভিযোগের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নিগৃহীত হয়েছেন। অন্যদিকে শ্যামল কান্তি ভক্তকে যিনি এমন অভব্যতা, অশ্লিষ্টতা এবং অমানবিক হিংস্রতায় ‘শাস্তি’ দিলেন সেই সাংসদই বরং দেশব্যাপী ঘৃণার পাত্ররূপে ধিক্কার পেয়েছেন। সবাই তখন ধারণা করেছিল যে ওই সাংসদ ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে হয়তো বিরত থাকবেন, একজন নিরীহ প্রধান শিক্ষককে নিয়ে বাড়াবাড়ি করার আর কোনো চেষ্টা করবেন না।

কারণ সামাজিক ও অন্যান্য গণমাধ্যম সমূহে সংশ্লিষ্ট সাংসদের বিরুদ্ধে যে ধরনের ধিক্কার ও সমালোচনা বার বার উচ্চারিত হয়েছিল তাতে বিবেকবান যেকোনো মানুষের উপলব্ধি হওয়া খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল- ওই সাংসদের ক্ষেত্রেও তা ঘটবে এমনটি বেশিরভাগ মানুষই মনে করেছিল, কেননা ওই সাংসদের বর্তমান রাজনৈতিক পরিচয়ের চাইতেও তার পরিবারের পূর্বপুরুষদের মর্যাদা এবং পরিচিতি দেশব্যাপী প্রচারিত ছিল। ওই পরিবারের কাছে বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক সম্মানিত হবেন- এটিই নারায়ণগঞ্জ এবং বাইরের সুধীমহল আশা করছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে নারায়ণগঞ্জের অভিজ্ঞতা বলছে ভিন্ন কথা। নারায়ণগঞ্জের মানুষ ওই পরিবারের এ প্রজন্মের রাজনৈতিক নেতাদের চিনছে ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতায়, দেখছে এমন কিছু আচরণ যা সচেতন মহলকে যারপরনাই ব্যথিত, মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ করছে। সে কারণে শ্রদ্ধার চাইতে ভয় ও ঘৃণার দৃষ্টি এই পরিবারের বর্তমান প্রভাবশালীদের প্রতি কতটা বিস্তৃত তা স্থানীয় গণমানুষের কথাবার্তাতেই স্পষ্ট হচ্ছে।

প্রভাবশালী সেই সাংসদ গত বছরের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেননি, নিজেকে সংশোধন করেননি। বরং তিনি ক্ষমতা ও বিত্তের দাপটে নিরীহ প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের ওপর আরো কঠোর প্রতিশোধের খড়গ শান দিতে শুরু করেছেন- যার সর্বশেষ নজির হচ্ছে প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে কথিত ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে মামলায় জড়িয়ে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা। ২৫ মে প্রকাশিত প্রথম আলোর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে সংশ্লিষ্ট সাংসদের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার এসআই মোখলেছুর রহমান সাংসদের সঙ্গে সমঝোতা করে নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ও তার পরিবারকে ভয়-ভীতি ও মোটা অঙ্কের টাকার প্রলোভন দেখিয়েছেন। এখানে এটা স্পষ্ট প্রতীয়মান হচ্ছে যে বন্দর থানার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের পক্ষ অবলম্বন না করে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী সাংসদের পক্ষাবলম্বন করেছে। বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। এই ধরনের পরিস্থিতির পরও কিন্তু শ্যামল কান্তি ভক্ত ভীত না হয়ে তার সততা ও নিষ্ঠার জোরে নিজের অবস্থানে দৃঢ় থাকেন। আর তার এই অনড় সততা ও নিষ্ঠার বিষয়টি নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী সাংসদ সেলিম ওসমানের মোটেও পছন্দ হয়নি, তাই তিনি শ্যামল কান্তিকে যে কোনো উপায়ে পর্যুদস্ত করার পথ বেছে নিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ওই স্কুলের একজন শিক্ষকের এমপিওভুক্তি বাবদ মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহণের ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

২০১৬ সালের ১৩ মের ঘটনার দুমাস পর হঠাৎ করে নিজ সহকর্মী মোর্শেদা বেগমের চাকরি এমপিও ভুক্তির জন্য ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর এক লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ এনে কথিত ঘটনার প্রায় দুই বছর পর একটি মামলা দায়ের করা হয়। প্রথম আলোতে ২৫ মে ২০১৭ তারিখে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে এই মামলার তদন্তকারী বন্দর থানার পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ ওই সাংসদ কর্তৃক প্রভাবতি হয়ে শিক্ষক শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন- যা আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে শ্যামল কান্তি ভক্ত উপস্থিত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান যে তাকে চাপে রাখার জন্যই এ ধরনের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং সে কারণেই মামলায় প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি জামিন পাননি। অথচ প্রভাবশালী সাংসদ সম্মানিত শিক্ষককে অপদস্ত করেছেন তার ভিডিও গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহে প্রচারিত হওয়ার পরও তিনি কিন্তু জামিনও পেয়েছেন, বিদেশেও পাড়ি দিয়েছেন। যে কারণে শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে আদালতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জমা দেয়া প্রতিবেদন নিয়ে শ্যামল কান্তি নিজেই প্রশ্ন তুলেছেন। এটি স্বাভাবিক যে শ্যামল কান্তি ভক্তের অর্থ-বিত্ত এবং প্রভাব ততটা নেই যা দিয়ে নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার পাশে দাঁড়াবে। অপরদিকে যেই সাংসদ এসব ঘটনা সংঘটিত করছেন তার প্রভাব স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর কতটা প্রখর তা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু প্রশাসনই নয় দলীয় ক্যাডার এবং অন্যান্য গোষ্ঠী- যারা এমন প্রভাবশালী একজন সাংসদকে তুষ্ট করার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকে, তাকে ঘিরেও থাকে- সেই ধরনের অপশক্তিও ওই সাংসদের যথেষ্ট রয়েছে। সুতরাং সাংসদের পরিকল্পনা মোতাবেক অনেক কিছুই করা সম্ভব, শ্যামল কান্তিকে উপযুক্ত ‘শিক্ষা’ দেয়া মোটেও কঠিন ব্যাপার নয়- এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায় হঠাৎ করে ওই সাংসদের দেশ ত্যাগ করার খবরে।

দেশে তার অনুপস্থিতিতে শ্যামল কান্তির পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাকে অন্তত অভিযুক্ত করা যাবে না! কেন না তিনি তো দেশেই ছিলেন না। এরই মধ্যে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে শ্যামল কান্তি ভক্তের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে এবং পরিবারের সদস্যগণ নিরাপত্তাহীনতার কারণে নারায়ণগঞ্জে নিজেদের বাড়িঘরে থাকার আস্থা খুঁজে পাচ্ছে না, এমন কি প্রশাসনও তাদের নিরাপত্তা বিধানের আশ্বাস দিচ্ছে না- তাই তারা অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি অমানবিক এবং রাষ্ট্র ও প্রশাসনকে মস্তবড় প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে। এ ধরনের একটি পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ কোনো অবস্থাতেই নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারে না। শ্যামল কান্তি এবং তার পরিবারের সদস্যদের ওপর যে ধরনের হয়রানি সৃষ্টি করা হয়েছে তা মোটেও মেনে নেয়া যায় না। বেশকিছু সংগঠন শ্যামল কান্তির পক্ষে বিবৃতি প্রদান ও মানববন্ধন করেছে, পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে বিবেকবান সব মানুষ ঘটনার ব্যাপকতা অবলোকন করছে, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহ শ্যামল কান্তির পাশে কীভাবে দাঁড়াচ্ছে তা দেখার অপেক্ষায় আছে। ২০১৬ সালের ঘটনার পর শিক্ষামন্ত্রী শ্যামল কান্তির পক্ষে অবস্থান নেয়ায় দেশের বিবেকবান মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেছিল, এখন সবাই আশা করছে শিক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রী নিজ নিজ অবস্থান থেকে শ্যামল কান্তির পাশে দাঁড়াবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে। নারায়ণগঞ্জে প্রভাবশালীদের অত্যাচার, ক্ষমতার দাপট সাধারণ মানুষের সম্পদের ওপর প্রভাব, হুমকি যথেষ্ট হয়েছে। এর জন্য নারায়ণগঞ্জবাসী কতটা ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত হয়েছে তা নিকট-অতীতেই প্রমাণিত হয়েছে।

বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে সরকারকে নিজের হাতে আইন তুলে নেয়া গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে হবে। তাহলেই শ্যামল কান্তির মতো শিক্ষক ন্যায় বিচার পাবে, সাধারণ মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে, একই সঙ্গে যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে এমন দুর্বৃত্তায়িত অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে তারা নিবৃত্ত হতে বাধ্য হবে। দেশবাসী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে শ্যামল কান্তি ভক্ত আবারো নির্দোষ প্রমাণিত হবেন এবং নিজের কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাবেন। তাহলেই সমাজে ন্যায়নিষ্ঠ মানুষের অবস্থান প্রতিষ্ঠিত হবে, ন্যায় ও সত্যের জন্য লড়াইয়ে অকুতোভয় মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, তরুণ প্রজন্ম তা দেখে শিক্ষা নেবে, একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গকারী প্রভাবশালীদের ঘৃণা করতে শিখবে। প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা অটুট রইল, আমরা তার দ্রুত মুক্তি কামনা করছি এবং সত্যের জন্য লড়াইয়ে তার বিজয় প্রত্যাশা করছি।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল - dainik shiksha ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002795934677124