দৈনিক শিক্ষাডটকম, নওগাঁ : জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরির অভিযোগ ওঠার পর তদন্ত শুরু করেন শিক্ষা কর্মকর্তা। ওই শিক্ষিকার শিক্ষক নিবন্ধন সনদসহ কাগজপত্র উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দিতে চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু সময়মতো কাগজপত্র জমা না দিয়ে তিনি সময়ের আবেদন করেছেন। সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
শিক্ষাবিষয়ক দেশের একমাত্র ডিজিটাল পত্রিকা ‘দৈনিক শিক্ষা ডটকম’ ও শিক্ষাবিষয়ক জাতীয় দৈনিক আমাদের বার্তায় নওগাঁর রাণীনগর থানার মালশন গিরিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বাংলা) মোছা. ময়না খাতুনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে শিক্ষা কর্মকর্তারা। শুরু হয় ওই শিক্ষিকার শিক্ষক নিবন্ধন সনদের যাচাই প্রক্রিয়া। সংবাদ প্রকাশের পর গত বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষিকা, তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ (ভারপ্রাপ্ত) সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেয় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। সেই চিঠিতে আজ মঙ্গলবারের মধ্যে তার সকল কাগজপত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু সেই সময় শেষ হওয়ার আগেই গত রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের নিয়ে গিয়ে প্রথমে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। শিক্ষা কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করতে না পারায় তিনি সময় চেয়ে আবেদন করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক মোছা. ময়না খাতুন দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আমি সময়ের আবেদন দিয়েছি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আগামী রোববার পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর মধ্যে কাগজপত্র জমা দিয়ে দেবো।
আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, দৈনিক শিক্ষা ডটকমসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই শিক্ষিকার শিক্ষক নিবন্ধন সনদসহ অন্যান্য সকল কাগজপত্র জমা দিতে বলেছি। কিন্তু তিনি তার কাগজপত্র না নিয়েই আমার অফিসে এসে সময়ের আবেদন করেন।