শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ও তার পড়াশোনার মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের জন্য কাজ করছি। শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে সাজাচ্ছি যার মাধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার জীবন ও জীবিকার স্বপ্ন পূরণে সক্ষম হবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় স্বপ্ন ও অর্জিত হবে। গতানুগতিক শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি, টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল শিক্ষার ওপরে খুব জোর দিচ্ছি। সবার জন্য অনার্স-মাস্টার্স আর পিএইচডি ডিগ্রির প্রয়োজন নেই।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) কোভিড-১৯ এবং তার পরবর্তী সময়ের প্রতিযোগিতামূলক চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলায় আমরা কি প্রস্তুত? শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে মাদরাসা শিক্ষা, টেকনিক্যাল শিক্ষা, ইংলিশ মিডিয়াম, কওমি ও সাধারণ শিক্ষা ধারাসহ ভিন্ন ভিন্ন ধারার শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। সাধারণ শিক্ষা আবার দুই ধারায় বিভক্ত। ইংলিশ ভার্সন ও বাংলা ভার্সন। শিক্ষার সব ধারাই কিছু আবশ্যিক দক্ষতা অর্জন করতে হয়। কিন্তু অনেক সময় লক্ষ করা যাচ্ছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় এই আবশ্যিক দক্ষতা অর্জিত হচ্ছে না। সরকার আবশ্যিক দক্ষতা উন্নয়ন এবং সব ধারার শিক্ষাব্যবস্থায় দক্ষতা নিশ্চিত ও যাচাইয়ের জন্য একটি ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়ন করতে যাচ্ছে।
বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস উপলক্ষে ড্যাফোডিল পরিবার ও এটুআই এর যৌথ আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড.মুনাজ আহমেদ নূর, এটুআই প্রকল্পের ফিউচার অফ ওয়ার্ক ল্যাবের প্রধান জনাব আসাদ উজ জামান, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, প্রথম আলোর ইউথ প্রোগ্রামের প্রধান মুনীর হাসানসহ অনেকে।