সম্প্রতি বাজারে এসেছে ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারির লেখা বই আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্পেয়ার’। রাজপরিবারের অনেক অজানা তথ্য উঠে এসেছে এই বইতে। তবে প্রিন্স হ্যারি জানিয়েছেন, রাজপরিবার নিয়ে সব কথা তিনি বলেননি। কারণ সব কথা বললে রাজপরিবার কখনোই তাকে ক্ষমা করবে না। শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি এ কথা বলেছেন।
প্রিন্স হ্যারি বলেন, ভাই প্রিন্স উইলিয়াম ও বাবা রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আরেকটি বই লেখার মতো যথেষ্ট তথ্য তার কাছে আছে। ‘স্পেয়ার’ বইটির প্রথম খসড়াটি ছিল ৮০০ পৃষ্ঠার। সেখান থেকে ৪০০ পৃষ্ঠায় বইটি প্রকাশিত হয়েছে। বাকি অংশ দিয়ে আরেকটি বই লেখা যেত। তিনি বলেন, আমার এবং আমার ভাই ও বাবার মধ্যে কিছু ঘটনা আছে, আমি চাই না বিশ্ব সেটা জানুক। কারণ, আমি জানি, এ রকম হলে তারা আমাকে ক্ষমা করবেন না।
হ্যারি বলেন, তিনি জনসমক্ষে রাজপরিবারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাননি। তবে রাজপরিবারের সংস্কার ও প্রিন্স উইলিয়ামের সন্তানদের ভবিষ্যত্ সুরক্ষিত রাখার জন্য এটি দরকার ছিল। যুক্তরাজ্যে হ্যারির লেখা বইটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুত বিক্রি হওয়া নন-ফিকশন বই হয়ে উঠেছে। বইতে রাজপরিবার নিয়ে অনেক আক্ষেপের কথা বলেছেন হ্যারি। একই সঙ্গে মায়ের মৃত্যুতে ট্রমা, মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে তার সংগ্রাম, মেগানের সঙ্গে দেখা করার আগের বিচ্ছিন্ন জীবন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কথা তুলে ধরেছেন। যদিও কেনসিংটন প্রাসাদ ও বাকিংহাম প্রসাদ জানিয়েছে, এই বইয়ের তথ্য নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন।
সাক্ষাত্কারে প্রিন্স হ্যারি আরো বলেন, তিনি রাজতন্ত্রকে ধ্বংসের চেষ্টা করছেন না, বরং তাদের থেকে নিজেদের বাঁচাতে চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, বইতে রাজপরিবারের সদস্যদের ছাড়া তার ঘটনার কথা বলা অসম্ভব ছিল, কারণ তারা এতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। খবর বিবিসির।