সভাপতির বিরুদ্ধে মাদরাসার গাছ কাটার অভিযোগ

মাগুরা প্রতিনিধি |

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার ঘুল্লিয়া বহুমুখী দাখিল মাদরাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও বিনোদপুর ইউপি’র সদস্য জাহাঙ্গীর মোল্যার বিরুদ্ধে অনুমতি বা রেজ্যুলেশন ছাড়াই প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ছায়া ও শোভাবর্ধনকারী লাখ টাকার গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ওই মাদরাসার সাবেক সভাপতি সাকিবুল ইসলাম পিকুল মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ প্রশাসনের একাধিক দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

লিখিত অভিযোগের অনুলিপি থেকে জানা যায়, নভেম্বর মাসের শেষের দিকে মাদরাসার মূল ভবনের পূর্বপাশের ছায়া ও শোভাবর্ধনকারী বৃহৎ আকৃতির ৫টিসহ ১৪টি গাছ প্রতিষ্ঠানটির রেজ্যুলেশন ছাড়াই শ্রমিক লাগিয়ে একদিনের মধ্যে কেটে নিয়ে যায়। শুক্র ও শনিবার বন্ধের দিনে মাদরাসার উত্তর পাশের বাউন্ডারি সংলগ্ন গাছ সভাপতির উপস্থিতিতে কাটতে শুরু করলে খবর পেয়ে মাদরাসার সুপার আনোয়ার হোসেনসহ অন্য শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে এসে নিষেধ করলে তা কর্ণপাত না করে তারা গাছগুলো কেটে নিয়ে যায়।

 

এ বিষয়ে অভিযোগকারী শাকিবুল ইসলাম পিকুল বলেন, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাদরাসার সার্বিক পরিবেশ নষ্ট করছেন। ইচ্ছামতো গাছ কেটে অর্থ আত্মসাৎ করছেন। মাদরাসা কমিটির রেজ্যুলেশন ও উপজেলা পরিষদের অনুমতি ছাড়ায় লক্ষাধিক টাকার গাছ দ্রুত কেটে ফেলে স্থানগুলো মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে। জাহাঙ্গীর মোল্যা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা ও ওই ওয়ার্ডের মেম্বার হওয়ায় তিনি এ স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযুক্ত ঘুল্লিয়া বহুমুখী দাখিল মাদরাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর মোল্যা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গাছগুলো মাদরাসার লাগানো ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেছে গাছগুলো মাদরাসার জমির বাইরে।

তারপরও মাদরাসা সংলগ্ন গোরস্থানে যাওয়ার রাস্তা তৈরির জন্য গাছগুলো কাটা হয়েছে। যা মাদরাসায় রেজ্যুলেশন করা আছে। সে অনুযায়ী গাছ বিক্রির ১৬ হাজার টাকা মাদরাসা ফান্ডে জমা করা হয়েছে। এখানে আমার ব্যক্তিগত কোন সুবিধা নেই। মাদরাসা সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি এখানে সবেমাত্র যোগদান করেছি। জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে আমি অবহিত নই। যে গাছ কাটা হয়েছে তা মাদরাসার সীমানা সংলগ্ন এবং মাদরাসার লাগানো বলে আমি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কোনো রেজ্যুলেশন ও ফান্ডে কোনো টাকা জমা দেয়া হয়নি। মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের এক্তিয়ারভুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হলে আমার অনুমোদন লাগবে। তার পূর্বে কারণ উল্লেখ করে আমার বরাবর আবেদন করতে হবে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো ভর্তি পরীক্ষা চালু হবে - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো ভর্তি পরীক্ষা চালু হবে সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দুই দিনে আবেদন প্রায় দুই লাখ - dainik shiksha সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দুই দিনে আবেদন প্রায় দুই লাখ শিক্ষক নিয়োগেও নামকাওয়াস্তে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা হয়: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগেও নামকাওয়াস্তে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা হয়: গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাঠ্যপুস্তক থেকে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার বিষয়বস্তু অপসারণের দাবি - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তক থেকে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার বিষয়বস্তু অপসারণের দাবি এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গল্প - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গল্প কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক পাঠ্যপুস্তকে একক অবদান তুলে ধরা থেকে সরে আসার আহ্বান হাসনাতের - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তকে একক অবদান তুলে ধরা থেকে সরে আসার আহ্বান হাসনাতের ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024211406707764