বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের পর চাঁদপুরে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তখন উপস্থিত সবাই কেন্দ্র থেকে অঘোষিত সমন্বয়কারী পরিচয় দিলেও এখন আর সেই পরিচয় দিবেন না। তারা নিজেদেরকে সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিতে চান।
শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে চাঁদপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমন ঘোষণা দেন চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন মো. রবিউল আলম। তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে সমন্বয়ক প্রথা স্থগিত করার আদেশের পর, আমরা আবারো নিজেদের জায়গা পরিষ্কার করে বলছি যে আমরা কোনো সমন্বয়ক নই। দীর্ঘ ১ মাস পর আমাদেরকে সামাজিক, পারিবারিক এবং রাজনৈতিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে লিয়াজোঁ ভিত্তিক রাজনৈতিক দলের সদস্যরা ভিডিয়ো এডিটিং ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এতে আমাদের স্বাভাবিক ব্যক্তিজীবন ব্যাহত হচ্ছে। এই ফলশ্রুতিতে আমরা এই বিবৃতি দিচ্ছি যে আমরা কোনো সমন্বয়ক নই। বরং সাধারণ শিক্ষার্থী। সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয়ে দেশ ও জাতীর কাছে তুলে ধরার জন্য গণমাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে আমাদের আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নাদিম পাটওয়ারীকে হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা কখনো কোনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করব না। একটি পক্ষ সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করছে। মূলত দেশ প্রেম থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
ছাত্রদের পক্ষে আরও বক্তব্য দেন- আল আমিন সায়েম ও মো. জুবায়ের ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন মো. নাদিম পাটওয়ারী, মো. আকায়েদুল ইসলাম রাফি, সায়েমা আফরোজ ও ফারিয়া নিশাত।
চাঁদপুর প্রেস ক্লাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্তসহ স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমের বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকরা সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।