সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার জন্য আর কত অপেক্ষা?

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কতটা ভোগান্তির শিকার হতে হয় তা বহুল আলোচিত। বস্তুত প্রায় সব শিক্ষার্থীর প্রধান লক্ষ্য থাকে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সামর্থ্য অনেক শিক্ষার্থীরই নেই। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এ রকম অনেক সমস্যার সমাধান মিলবে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চালু হলে। এ পদ্ধতি চালু হলে আশা করা যায় একজন শিক্ষার্থী তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী কোনো শহরে বসেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এমন যুগোপযোগী পদ্ধতিটি চালু হতে দেরি হওয়ার বিষয়টি হতাশাব্যঞ্জক। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। নিবন্ধটি লিখেছেন শরীফ মোরশেদ।

জানা যায়, এ পদ্ধতি চালু হলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের একটি খাত কমে যাবে। এ কারণেই কি এ পদ্ধতি চালু হতে দেরি হচ্ছে? সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চালুর অন্যতম ইতিবাচক দিক হল এ পদ্ধতি চালু হলে কোচিং-গাইড বাণিজ্য কমবে। সবচেয়ে বড় কথা, এ পদ্ধতি চালু হলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের দুর্ভোগ কমবে।

যেহেতু তুমুল প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হয়, এজন্য একজন ভর্তিচ্ছু অন্তত চার-পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে থাকে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে একজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর যাতায়াত খরচসহ সব মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবককে এ টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয়। এসব কারণে নিম্নবিত্ত পরিবারের অনেক শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চালু হলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে নিম্নবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীরা। কাজেই এ পদ্ধতি যাতে দ্রুত চালু হয়, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাই আন্তরিকতার পরিচয় দেবেন, এটাই প্রত্যাশা।

লেখক : মিরপুর, ঢাকা।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? - dainik shiksha শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মানদণ্ড কী? অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ - dainik shiksha অবসর-কল্যাণে শিক্ষার্থীদের দেয়া টাকা জমার কড়া তাগিদ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে - dainik shiksha সুপ্রিম কোর্টের ফতোয়ার রায় পাঠ্যপুস্তকে নিতে হবে সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি - dainik shiksha সরকারি কলেজ মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদিমের চাকরি জাতীয়করণ দাবি শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষকের বেতন ও শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কাজ চলছে: শিক্ষামন্ত্রী বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি - dainik shiksha বিএসসি মর্যাদার দাবিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মাসব্যাপী কর্মসূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002485990524292